Sunday, July 22, 2018

জানাযা যখন কথা বলে !!


জানাযা যখন কথা বলে:(কপি ও শেয়ার করুন) আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক উপাধ্যক্ষ, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদ্রাসা ইবনে তাইমিয়ার জানাযার নামাযে অংশ নেয়া মানুষের সংখ্যা নিয়ে তার অনুসারীরা সকল যুগেই খুব গৌরব করে থাকে। এত মানুষের বিস্ময়কর উপস্থিতি! এটাকে তারা হক্কানিয়্যতের অন্যতম দলিল হিসেবে গ্রহণ করে ও প্রচার করে। তার জানাযার নামাযে ১৫ হাজার নারীসহ ৬০ হাজার কিংবা সত্তর হাজার, মতান্তরে আশি হাজার কিংবা দুই লক্ষ উপস্থিতির মত পাওয়া যায়। ইবনে তাইমিয়া অনুসারীদের কাছে এটা খুব গৌরবের। তারা হয়ত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রা. এর জানাযার ইতিহাস দেখেনি। তাঁর জানাযায় শুধু মহিলাভক্তই এসেছেন ৬০ হাজার। আর অংশগ্রহণকারী পুরুষের সংখ্যা বিভিন্ন মতের মধ্যে ৮ লক্ষ পর্যন্ত পাওয়া যায়। হযরত আহমদ বিন হাম্বল রা. জীবদ্দশায় বিদআতী ফেরকা মুতাজিলা ও জাহমিয়াদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন: قولوا لأهل البدع بينا وبينكم الجنائز- "বিদআতীদের বলে দিও, আমার এবং তোমাদের মধ্যে জানাযার নামায পার্থক্য নির্দেশ করবে।" ঠিক তাই হয়েছে। আট লক্ষ মানুষের জানাযায় অংশগ্রহণ কম কথা নয়। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রা. এর কাছে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তিনখানা পবিত্র চুল মোবারক সংরক্ষিত ছিল। তিনি অসিয়ত করেছিলেন, 'মৃত্যুর সময় যাতে দুই চোখে দুইখানা এবং মুখের উপর একখানা চুল মোবারক রাখা হয়'। এবং অসিয়ত অনুসারে তাই করা হয়েছিল। তাবারুক বিরোধীদের ক্ষেপে যাওয়ার কিছু নেই। ইবনে তাইমিয়া গোসল দেয়ার পর অবশিষ্ট পানিও ভক্তরা সকলে মিলে পান করেছিল। জেয়ারত বিরোধী হিসেবে পরিচিত ইবনে তাইমিয়াকে দাফন করার পর অনেকদিন পর্যন্ত ভক্তরা তার কবরে আসা-যাওয়াও অব্যাহত রেখেছিল। হযরত আহমদ বিন হাম্বল রা. এর জানাযা সম্পর্কে তাঁর উক্তিটা আবার লক্ষ করুন। বিরোধীপক্ষের জন্য তাঁর জানাযার নামায কথা বলেছিল। তাহলে গত শুক্রবারে ওফাতপ্রাপ্ত তাজুশ শরীয়া রহ. এর জানাযার নামায ইতিহাসের পাতায় কি সংলাপ রেখে গেল!!

No comments:

Post a Comment

Featured post

কুরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি মাসআলা

 কোরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি মাসআলা ||-----๑▬▬๑﷽๑▬▬๑-----|| কোরবানী একটি ঐতিহাসিক স্মৃতিময় আমল। আল্লাহ বলেন فصل لربك وانحر হে নবী! আপনি ...