একেক জনের লাশ এনে এক জায়গায় রাখা হচ্ছে। নবীজি গুনে দেখেলেন ৬৮ টা লাশ। ২ টা নাই, একজন তার চাচা হামজা (রাঃ) আরেক জন হানজালা (রাঃ)।
অস্থির হয়ে পড়েছেন নবীজি। সব সাহাবাদের পাঠাইলেন লাশ খোঁজার জন্য। সবাই এদিক ওদিক চলে গেলেন ৷ হঠাঁৎ বোরকা পরা এক মহিলা এসে দাঁড়ালেন নবীজির কাছে। নবী তাকে চিনলেন না। - মহিলা বললেন: ইয়া রাসুল্লাহ (দঃ) আপনি একটি বিয়ে পড়িয়ে ছিলেন মনে আছে?
নবীজি (দঃ) বলেন: হাঁ আমি তো হানজালার বিয়ে পড়িয়েছি।
যার বিয়ের খুশিতে আমি খুরমা খেজুর ছিটিয়ে ছিলাম। -
মহিলা বললেন: ইয়া রাসুল্লাহ! আমার হাতটা দেখেন। হাতের মেহেদী এখনও শুকায় নাই।
কাল বিকেলে বিয়ে হয়েছিল ৷ আর রাত ২টা বাজে ৷ তখন উহুদের যুদ্ধের ডাক এসেছে ৷ যুদ্ধের জন্য বের হয়ে গেছেন হানজালা। বাসর রাতে তাঁর সাথে আমার ভালোভাবে পরিচয়ই হয়নাই। যাওয়ার আগে শুধু বলে গেছেন "যদি ফিরে আসি তাহলে দেখা হবে দুনিয়ায়, আর যদি শহীদ হয়ে যাই তাহলে দেখা হবে জান্নাতে" -
মহিলা কেঁদে কেঁদে বললেন ইয়া রাসুল্লাহ (দঃ) যাওয়ার আগে আমার কপালে একটা চুম্বন করে গেছেন। লজ্জায় বলতেও পারি নাই আপনার জন্য গোসল ফরজ। - নবীজি (দঃ) কাদঁতেছেন। নবীজীর চুখে পানির ফোঁটা মুক্তার মতো জলমল করছে ৷ মহিলা বললেন: ইয়া রাসুল্লাহ, শহীদদের তো আপনি গোসল দেন না ৷ আমার স্বামীকে আপনি একটু গোসল দিয়েন? নবীজি সম্মতি প্রকাশ করার পর একজন সাহাবী দৌড়ে এসে বললেন ৷
ইয়া রাসুল্লাহ হানজালা কে পাওয়া গেছে। ---
সবাই গেলেন। গিয়ে দেখলেন সাদা কাফনের ভিতর লাশের মাথায় পানি। নবীজি মাথা হাত দিয়ে দিলেন। জিবরাঈল (আ) আসলেন .......এসে বললেন ইয়া রাসুল্লাহ হানজালার কোরবানিতে আল্লাহ্ পাক এতটাই খুশি হয়েছে ৷ যে আমি জিব্রাইল কে আদেশ করলেন তাকে নিয়ে আসতে। ইয়া রাসুল্লাহ আমরা ফেরেশতারা তাকে তৃতীয় আসমানে এনে জমজমের পানি দিয়ে গোসল করিয়েছি এবং তার শরীরে যে সুগন্ধ দেখছেন ৷ এটা আল্লাহ্ পাকের বিশেষ খুসবু মিশক আম্বর আতর দ্বারা, কাফনের কাপড়ে ঢুকিয়েছি।......
আল্লাহু আকবার
আবু যার (রা:) থেকে বণিত তিনি বলেন ৷ আমি নবীজি (স) কে জিজ্ঞাসা করলাম কোন কাজ
সবচেয়ে উত্তম ৷ তিনি বল্লেন আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তার পথে জিহাদ ৷
No comments:
Post a Comment