Wednesday, July 25, 2018

বানিয়ে জামেয়া, কুতুবুল আউলিয়া, সৈয়্যদ আহম্মদ শাহ সিরিকোটি (রহঃ)

সীরাতে হযরত সিরিকোটি। 
 বিষয়ঃ তাঁর উপাধি সমূহ


  1. লকব বা উপাধিঃ বংশগত সূত্রে তিনি অারবী, হাসেমী, মক্কী, মাদানী কোরাশী এবং হোসাইনী ।জন্ম সূত্রে, অাজমী, পেশওয়ারী অার সিরিকোটি।তরিকার অনুসরণে, তিনি কাদেরী।অামলে শরীয়তে, হানাফি। অাকিদায়ে, সুন্নি। অধ্যায়নে তিনি অাল্লামা, হাফিজ এবং ক্বারী।ধর্ম প্রচারের প্রয়োজনে, হিজরত করার কারণে, তিনি অাফ্রিকাওয়ালা।অামল ও রিয়াজতের শিক্ষা বিস্তারে এবং প্রাতিষ্ঠানিক রুপদানে তিনি রাহবর। অর্থাৎ তিনি রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরিকত।তরিকতের শায়েখদের শাজরায় তিনি, পীরে তরিকত। তিনি ছিলেন কুতুবুল অাউলিয়া এবং গাউসে জামান। সবচেয়ে তাঁর মর্যাদাবান পরিচয় হলো--- তিনি অাওলাদে রাসুল (সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) । এবং ৩৯তম বংশধর। অাবার যেহেতু তিনি, পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্তে বসবাস করতেন, তাই সবাইর কাছে তিনি সীমান্ত পীর নামে পরিচিত ছিলেন।তিনি যেখানে গমন করেছেন, সেখানেই অাকাঈদে অাহলে সুন্নাতের পতাকাকে উড্ডয়ন করেছেন এবং মাযহাব মিল্লাত অার সুন্নিয়তের নেতৃত্ব দিয়েছেন, এই সব খেদমতের জন্য তাঁর নামের সাথে পেশোয়ায়ে অাহলে সুন্নাত উপাধি ব্যবহার করেন, সুন্নি জামাতের অনুসারীরা। বানিয়ে জামেয়া।জামেয়া প্রতিষ্ঠার একমাত্র অনুপ্রেরণা ছিল, দরুদ শরীফ।অর্থাৎ বাঁশখালীর শেখের খীলে হুজুর কেবলা শাহেন শাহে সিরিকোটের মাহফিলে কিছুসংখ্যক উপস্থিত দরুদ শরীফ না পড়ার কারণ । সেখানে থেকে চট্টগ্রাম শহরে এসে হুজুর কেবলা দরুদ শরীফ পড়ার এবং পড়ানোর লোক তৈরির জন্য জামেয়ার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ১৯৫৪ সালে। বর্তমানে স্বদেশ এবং বহিঃবিশ্বে যারা বিভিন্ন ভাবে সুন্নিয়তের খেদমত করছেন, তাদের মধ্যে সর্বাধিক জামেয়ার ছাত্র অথবা অাশেক ভক্ত কিংবা সংশ্লিষ্টরা। অার এই মাদ্রাসা তো বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বেশ কয়েকবার স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত।জামেয়ার মর্যাদা, এর সুশিক্ষার মানোন্নয়ন এবং জগত বিখ্যাত অালেমে দ্বীন হযরত কেরামের মাধ্যমে পাঠদানসহ সর্ব বিষয়ে এর সুনাম ও সুখ্যাতি অাজ শুধু এশিয়া নয়--- বরং বিশ্ববিজয়ী।এই সবই শাহেন শাহে সিরিকোটের বেলায়তের কাজ ছাড়া কিছু নয়---। মানুষের জাগতিক এবং অাধ্যাত্মিকসহ সর্ব প্রয়োজনের চাহিদা পূরণ করে অাসছে জামেয়া, এবং প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে।যাঁরা সৎ মকসুদ পুরণের জন্য মান্নত করেন, তাদের সফল বয়ে এনে দেয়, এই জামেয়া। তাই শাহেন শাহে সিরিকোট এবং জামেয়া মানুষের অন্তর আত্মার মধ্যে এমন ভাবে স্থান করে নিয়েছেন, যা বর্ণনাতীত। সে অালোকে শাহেন শাহে সিরিকোট ছাত্র শিক্ষকসহ অাপমর সুন্নি জনতার কাছে, "বানিয়ে জামেয়া" নামে সুপরিচিত এবং সুখ্যাত। দরবারে সিরিকোট শরীফের দর্শনকে, তাঁর অালোকে পরবর্তীতে অারো বেগবান এবং মানুষের দ্বারপ্রান্ত থেকে শুরু করে বহিঃবিশ্বের বহুপ্রান্তে বহু স্তরে পৌঁছে দিয়েছেন, হুজুর কেবলার সাহেবজাদা বানিয়ে জশনে জুলুছ, অাল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ কেবলা (রাহমাতুল্লাহি তা'আলা আলাইহি) । যার ফলে এই মাতৃগর্ভের ওলীর নূরানি হাতে অসংখ্য মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং লাখো লাখো পথহারা মানব বায়াত গ্রহণ করে, সঠিক সহজ সরল পথের সন্ধান পাই। অার সে সকল লাখো মানুষের কাছে শাহেন শাহে সিরিকোট "দাদা হুজুর কেবলা" নামে সম্মানিত অার পরিচিত। শাহেন শাহে সিরিকোট। ইলমে লদুনির অধিকারী গাউসে জামান হযরত খাজা চৌহরভী, তাঁর দরবারের শরীয়ত তরিকত অার বেলায়তের সব দায় দায়িত্ব কুতুবুল অাউলিয়ার হাত মোবারকে অর্পণ করেন। কুতুবুল অাউলিয়া সে মহান দায়িত্ব পাওয়ার পর , তিনি তা সর্বোত্তম ভাবে পালন করেন। যার ফলে, দাদা হুজুর কেবলা সিরিকোট শরীফ কাদেরিয়া তরিকার প্রধানতম মারকাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সমক্ষ হয়েছিলেন। সুন্নিয়তের জন্য হুজুর কেবলার অক্লান্ত পরিশ্রম অার খেদমতের জন্য এই দরবার সারা দুনিয়ায় পরিচিতি হয়ে পড়ে।তিনি এই মহান দরবারের প্রাণপুরুষের দায়িত্ব গ্রহণ করে সুন্নিয়তের পাঞ্জেরীর ভূমিকা পালেন করেন।মাযহাব মিল্লাত তাই তাকে, "শাহেন শাহে সিরিকোট'' উপাধির খ্যাতিতে অবিহিত করেন

No comments:

Post a Comment

Featured post

কুরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি মাসআলা

 কোরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি মাসআলা ||-----๑▬▬๑﷽๑▬▬๑-----|| কোরবানী একটি ঐতিহাসিক স্মৃতিময় আমল। আল্লাহ বলেন فصل لربك وانحر হে নবী! আপনি ...