Wednesday, August 26, 2020

 #কারবালার_ইতিহাস -০১


সৈয়্যদুশ শোহাদা হযরত ইমাম হুসাইন رضي الله عنه চতুর্থ হিজরীর শাবান মাসের ৫ তারিখ পবিত্র মদীনা শরীফে জন্মগ্রহন করেন। পবিত্র বেলাদাতের পর সরকারে মদীনা ﷺ তাঁর কানে আযান দেন এবং তিনি তার জন্য দোয়া করেছিলেন। এই বিষয়ে হাদীস শরিফে বর্ণিত আছে -->


হযরত আবু রাফে  رضي الله عنه থেকে বর্ণিত , যখন  হাসান ও হুসাইন জন্মগ্রহণ করলেন , তখন নবী ﷺ খোদ তাঁদের কানে আযান দিয়েছিলেন।

তথ্যসূত্রঃ আল-মু'জামুল কাবির- ইমাম তাবরানী رحمه الله عليه

সাত দিন পর আকীকা করেন, এই বিষয়ে হাদীস শরিফে বর্ণিত আছে -->


উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা رضي الله عنها থেকে বর্ণিত , নবী ﷺ  হাসান-হুসাইনের জন্মের সপ্তম দিন তাদের আকীকা হিসাবে দু'টি ছাগল জবাই করেন।

তথ্যসূত্রঃ আস- সহীহ - ইমাম ইবনে হিব্বান رحمه الله عليه

তাঁর নাম 'হুসাইন' রাখা হয়েছিল।  হাদীসে বর্ণিত আছে -->


ইমরান বিন সোলাইমান থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন , হাসান ও হুসাইন নাম দু'টি জান্নাতবাসীর দু'টি নাম। জাহেলী যুগে এই নামে কোন নাম ছিল না।

তথ্যসূত্রঃ আস- সাওয়ারিকুল মুহরিকা - ইবনে হাজর মক্কী رحمه الله عليه


হযরত মফযল رحمه الله عليه থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আল্লাহ ﷻ হাসান-হুসাইনের নামকে অন্তরালে রেখেছিলেন। এক পর্যায়ে নবী ﷺ এই দুই নাম তাঁর দুই পুত্র(নাতি) , হাসান- হুসাইনের নামে রাখেন।

তথ্যসূত্রঃ আশ-শরফুল মুআব্বিদ- ইমাম নাবহানী رحمه الله عليه


হযরত হাসান ও হুসাইন رضي الله تعالى عنهما হুযুর ﷺ-এর খুবই প্রিয় পাত্র ছিলেন। তাঁদের ফযীলত সম্পর্কে অনেক হাদীস মুবারক রয়েছে।  

হযরত আবু আইয়ুব আনসারী رضي الله عنه থেকে বর্ণিত। আমি যখন নবী ﷺ -এর দরবারে উপস্থিত হলাম, তখন দেখতে পেলাম, হাসান-হুসাইন رضي الله تعالى عنهما তাঁর ﷺ  সামনে অথবা পবিত্র কোল মুবারকে খেলছিলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি তাঁদের ভালোবাসেন? নবী ﷺ   বললেন আমি কেন তাদের ভালোবাসবো না, অথচ তাঁরাই তো আমার দুনিয়ার পুষ্পোদ্যানের দুই পুষ্প। এদের সুগন্ধীর ঘ্রান নিচ্ছি।

তথ্যসূত্রঃ আল-মু'জামুল কাবির- ইমাম তাবরানী رحمه الله عليه


এমনকি তিনি ﷺ  আপন সন্তান থেকেও তাঁদেরকে অধিক ভালবাসতেন।


এই বিষয়ে হযরত আল্লামা জামী رحمه الله عليه বর্ণনা করেন, একদিন সরকারে দু'আলম ﷺ  হযরত ইমাম হুসাইন رضي الله عنه কে ডানে ও স্বীয় সাহেব্জাদা হযরত ইব্রাহিম رضي الله عنه কে বামে বসিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় হযরত জিব্রাইল عليهم السلام  উপস্থিত হয়ে আরয করলেন- ইয়া রাসূলুল্লাহ! ﷺ আল্লাহ তায়ালা এই দু'জনকে আপনার কাছে একসাথে রাখবেন না। ওনাদের মধ্যে একজনকে ফিরিয়ে নিবেম। অতএব আপনি এই দু'জনের মধ্যে যাকে ইচ্ছা পছন্দ করুন । হুযুর ﷺ  বললেন, যদি হুসাইনকে নিয়ে যায়, তাহলে ওর বিরহে ফাতেমা ও আলীর খুবী কষ্ট হবে এবং মন্টাও ক্ষুন্ন হবে, আর যদি ইব্রাহিমের ওফাত হয়, তাহলে সবচেয়ে বেশী দুঃখ একমাত্র আমিই পাব। এজন্য নিজে দুঃখ পাওয়াটাই আমি পছন্দ করি । এই ঘটনার তিন দিন পর হযরত ইব্রাহিম رضي الله عنه ইন্তিকাল করেন। এরপর থেকে যখনই ইমাম হুসাইন رضي الله عنه হুযুর ﷺ -এর সমীপে আসতেন, হুযুর ﷺ  তাকে মুবারকবাদ জানাতেন, তার কপলে চুমো দিতেন এবং উপস্থিত লোকদের সম্মোধন করে বলতেন, আমি হুসাইনের জন্য স্বীয় সন্তান ইব্রাহিমেকে কুরবানী দিয়েছি।

তথ্যসূত্রঃ শাওয়াহেদুন নবুয়াত


(চলবে)

No comments:

Post a Comment

Featured post

কুরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি মাসআলা

 কোরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি মাসআলা ||-----๑▬▬๑﷽๑▬▬๑-----|| কোরবানী একটি ঐতিহাসিক স্মৃতিময় আমল। আল্লাহ বলেন فصل لربك وانحر হে নবী! আপনি ...