হে আল্লাহ আমাদের একজন নেককার স্ত্রী দান করুন আর আমাদেরও নেককার স্বামী বানিয়ে দিন ৷
ইসলামের ইতিহাসে অনেক বাদশা ছিলেন। তন্মধ্যে ইরাক শহরের অন্যতম একজন হলো যার নাম অনেকে জানেন বাদশা হারুনুর রশীদ। উনার একজন নেককার স্ত্রী ছিলেন যার নাম ছিল যুবাইদা।যিনি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর থেকে জীবনে কোনদিন আছরের নামাজ কাজা করেন নি। একদিন স্ত্রী পাশে স্বামী বসা অবস্থায়। স্বামীকে স্ত্রী অছিয়ত করে বলেন, ওগো আমার পেয়ারা স্বামী অল্প কিছুক্ষণ পরে আমি দুনিয়া হতে পরকালের চলে যাব। আপনার কাছে আমার অনুরোধ। আমার ইন্তেকালের পরে এমন একজন লোকের মাধ্যমে আমার নামাজের জানাজা দিবেন যে জীবনে আছরের নামাজ কর্যা করে নি।বাদশা হারুনুর রশীদ স্ত্রীকে তাই কথা দিলেন। কয়েকদিন পরে স্ত্রী মারা গেলে গোসল, কবর খনন ইত্যাদি হলো কিন্তু অছিয়ত মতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না যে জীবনে আছরের নামাজ কাজা করেনি।বাদশা নির্দেশমতে সারা রাজ্যে মানুষ ছড়িয়ে পড়ল সংবাদ নেওয়া জন্য। তখন বাদশা হারুনুর রশীদের পাশে একজন ওযীর দাঁড়ানো অবস্থায় বলল। হুযুর আমার পরিচিত একজন আছে যার কোনদিন আছরের নামাজ কাজা হয়নি। বাদশা মনে মনে খুশি হলেন। পরেদিন জানাজার সময় হলে ওযীরকে বাদশা বললেন কোথায় ঐ লোক যিনি জীবনে আছরের নামাজ কাজা করে নি? জবাবে ওযীর বলল হুযুর বেয়াদবী মাফ করবেন। অন্য কোন লোক নয় বরং আপনিই সেই লোক। বাদশা বললেন মানে? অজির বলল হুযুর আমি আপনার দরবারে আসছি আজকে বহুবছর আগে যতদিন আমি আপনার পাশে ছিল।আমি জিবনে কোনদিন আপনাকে আছরের নামাজ কাজা করতে দেখেনি। সুতরাং আপনি আপনার স্ত্রী জানাজা নামাজ পড়াবেন। তখন বাদশা হাওমাও করে কেঁদে দিয়ে বললেন। হায় আল্লাহ এটা আমার বহু গোপনীয় বিষয় ছিল। আমার স্ত্রী তো আমার আমার এ বিষয়টি প্রকাশ করে দিল। আর সে চেয়েছিল আমিই তার জানাজা পড়াই। শেষ পর্যন্ত বাদশা হারুনুর রশীদ কে নাহারে যুবাইদা(রহঃ) জায়নাজার নামাজের ইমামতি করতে হয়েছিল। (যেমন স্ত্রী তেমন স্বামী)
আল্লাহ রব্বুল আলামীন যেন আমাদের জীবনেও নেককার স্ত্রী দান করে আর আমাদেরকেও নেককার বানান
আমিন
বিহুরমাতি সায়্যিদিল মুরসালিন
No comments:
Post a Comment