Monday, August 27, 2018

ফারুকী হত্যা: কয়েকজনের নাম পেয়েছে সিআইডি

টেলিভিশনে ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নূরুল ইসলাম ফারুকী খুনের চার বছর পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত কয়েকজনের নাম পাওয়ার কথা জানিয়েছে সিআইডি।

গ্রেপ্তার এক জঙ্গির আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তাদের নাম জানা গেছে বলে জানিয়েছে মামলাটির বর্তমান তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি।


হাদিসুর রহমান সাগর নামে ওই ব্যক্তির জবানবন্দির ভিত্তিতে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলছেন, ইসলাম সম্পর্কে ব্যাখ্যা নিয়ে বিরোধ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় জঙ্গিরা।


২০১৪ সালের ২৭ অগাস্ট ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারের ভাড়া বাড়ির দোতলায় মাওলানা ফারুকীকে গলা কেটে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত।


ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুকী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতেরও কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন।


এ মামলার তদন্তভার প্রথমে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে থাকলেও পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দায়িত্ব পায়।



নুরুল ইসলাম ফারুকী (ফাইল ছবি)


মোল্যা নজরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর দায়িত্ব নেওয়ার পর তদন্তে সাগরসহ বেশ কয়েকজনের নাম পান তারা। পরে খোঁজ নিয়ে জানেন, সাগর অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

“তখন আমরা ফারুকী হত্যা মামলায় তাকে অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ডে আনার পর জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য দেয়।”


এরপর গত ৩০মে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সাগর। ফারুকী হত্যামামলায় এখন পর্যন্ত সাগরই একমাত্র গ্রেপ্তারকৃত আসামি বলে সিআইডি জানায়।


মোল্যা নজরুল বলেন, “হত্যাকারীরা মনে করছিল,  ফারুকী বিভিন্ন মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহ সম্পর্কে ভুল ব্যাখা দিতেন। তাছাড়া আল্লাহ এবং হাদিস সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য দিতেন, যা কোনোভাবেই কোরান-হাদিস সমর্থন করে না বলে তাদের মত।


“এজন্য জঙ্গি সংগঠন জেএমবি তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। এ কারণে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় বলে সাগর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছে।”



সাগরের দাবি, হত্যাকাণ্ডের সময় ফারুকীর বাসার নিচে ছিলেন তিনি। জেএমবির অন্য সদস্যরা বাসার ভেতর ঢুকে হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

মোল্যা নজরুল বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে ১০ থেকে ১২ জন জড়িত ছিল বলে সাগর জানালেও সাতজনের নাম জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে। তার মধ্যে ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া জামাই ফারুকও রয়েছেন।


সাগরের স্বীকারোক্তি উদ্ধৃত করে মোল্যা নজরুল বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগের দিন জেএমবির একটি বৈঠক টঙ্গীর আবদুল্লাহপুর এলাকায় হয়েছিল। সেখানে একজন সাগরকে পরদিনের ‘একটি অভিযানের জন্য’ প্রস্তুত থাকতে বলেছিল।


সিআইডি কর্মকর্তাদের ধারণা, সাগর জেএমবির বড় নেতাই ছিলেন। রাজশাহী অঞ্চলের দায়িত্ব ছিল তার।


মোল্যা নজরুল জানান, “যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।”


 পত্রিকা লিংক 

No comments:

Post a Comment

Featured post

কুরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি মাসআলা

 কোরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি মাসআলা ||-----๑▬▬๑﷽๑▬▬๑-----|| কোরবানী একটি ঐতিহাসিক স্মৃতিময় আমল। আল্লাহ বলেন فصل لربك وانحر হে নবী! আপনি ...