পরিবারের মধ্যে যিনি রোজগার করেন তার নামেই ক্বুরবানি ওয়াজিব।
আমাদের সমাজের কিছু কিছু বাসায় দেখা যায় যে যুবক সন্তান রোজগার করে, বৃদ্ধ বাবা বাসায় থাকেন। তারপরেও সন্তান বাবার নামে ক্বুরবানি করে থাকে, নিজের নামে নয়। কিন্তু এই কাজ করলে সন্তানের ক্বুরবানি আদায় হবে না বরং তাকে আবার নিজ নামে ক্বুরবানি দিতে হবে, তানাহলে তার ওয়াজিব আদায় হবেনা।
.
নিজের ওয়াজিব আদায় করার পরে যার নামেই ইচ্ছা আপনি ক্বুরবানি করতে পারেন। মৃত, জীবিত, বালেগ, নাবালেগ, বৃদ্ধ, শিশু, স্ত্রী, মা সহ যেকোনো মুসলমানের নামেই করতে পারেন। ইন শা আল্লাহ
.
আবার কিছু পরিবারে একাধিক সাহিবে নেসাব থাকলে প্রত্যেককেই নিজের নামে ক্বুরবানি করতে হবে। একজনের নামে করলে শুধু তারই ওয়াজিব আদায় হবে, বাকিরা গুনাহের অধিকারী হবে।
.
এছাড়াও আমাদের ঘরের নারীদেরও অনেকেরই সোনা থাকে যার বাজারমূল্য সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমপরিমান, তাহলে অবশ্যই তাদের উপর ক্বুরবানি ওয়াজিব যদিও তারা কোনো রোজগার নাই বা করে থাকেন।
.
এর চেয়ে দুঃখের ব্যাপার আর কিই বা হতে পারে যা, এ ব্যাপারে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। বছরের পর বছর নিজ মা বা বোন বা স্ত্রীর পর্যাপ্ত সোনা থাকার পরেও তার নামে ক্বুরবানি করেন নি। আজই তাওবা করুন এবং এই বছরেই তাদের নামে ক্বুরবানি দিন।
.
আল্লাহ আমাদের প্রকাশ্য ও গোপন উভয় গুনাহ থেকেই পরিত্রাণ দান করুন।
No comments:
Post a Comment