Friday, August 31, 2018

বিশ্বময়কর একটি ঘটনা সুবহানাল্লাহ



একদিন মদীনার দুই ব্যক্তি একজন যুবককে টেনে হিছরে, অর্ধপৃথিবীর শাসক,খলীফা, হযরত উমর রা. এর দরবারে হাজির করলো। এবং বিচার দাখিল করলো যে,এই যুবক আমাদের পিতাকে হত্যা করেছে। আমরা এর ন্যায় বিচার চায়।


তখন খলীফা (প্রধানমন্ত্রী) হযরত উমর রা. সেই যুবককে প্রশ্ন করেন, তার বিপক্ষে করা দাবী সম্পর্কে। তখন সেই যুবক বলেন,তাদের দাবী সম্পুর্ণ সত্য। 


আমি ক্লান্তির কারনে বিশ্রামের জন্য এক খেজুর গাছের ছায়ায় বসলাম। ক্লান্ত শরীরে অল্পতেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার একমাত্র পছন্দের বাহন আমার উট টি পাশে নেই। খুঁজতে খুঁজতে কিছু দূর গেয়ে পেলাম, তবে তা ছিলো মৃত। পাশেই ওদের বাবা ছিলো। যে আমার সেই উট কে তাদের বাগানে প্রবেশের অপরাধে পাথর মেরে হত্যা করেছে।

আমি ও রাগান্বিত হয়ে তাদের বাবার সাথে তর্কাতর্কি করতে করতে এক পর্যায়ে তাদের বাবার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে ফেলি, ফলে সে সেইখানেই মারা যায়। যা সম্পুর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে হয়ে গেছে। যার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

বাদী'রা বলেন:- আমরা এত মৃত্যুদণ্ড চাই।


হযরত উমর রা. সব শোনে বললেন উট হত্যার বদলে একটা উট নিলেই হতো, কিন্তু তুমি বৃদ্ধকে হত্যা করেছো। হত্যার বদলে হত্যা, এখন তোমাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হবে। তোমার কোন শেষ ইচ্ছা থাকলে বলতে পারো।


নওজোয়ান বললো, আমার কাছে কিছু ঋন ও অন্যের কিছু আমানত আছে। আমাকে যদি কিছুদিন সময় দিতেন তবে আমি বাড়ি গিয়ে আমানত ও ঋন গুলি পরিশোধ করে আসতাম।


খলিফা হযরত উমর রা. বললেন তোমাকে একা ছেড়ে দিতে পারি না।  যদি তোমার পক্ষ থেকে কাউকে জিম্মাদার রেখে যেতে পারো তবে তোমায় সাময়িক মুক্তি দিতে পারি।


নিরাশ হয়ে নওজোয়ান বললো, এখানে আমার কেউ নেই। যে আমার জিম্মাদার হবে।


একথা শুনে হঠাৎ মজলিসে উপস্থিত, আল্লাহর নবীর এক সাহাবী হযরত আবু জর গেফারী রা. দাড়িয়ে বললেন, আমি হবো ওর জামিনদার।


সাহাবী হযরত আবু জর গেফারী রা. এই উত্তরে সবাই হতবাক। একেতো অপরিচিত ব্যক্তি তারউপর হত্যার দন্ড প্রাপ্ত আসামীর জামিনদার


খলিফা বললেন আগামি শুক্রবার জুম্মা পর্যন্ত নওজোয়ানকে মুক্তি দেওয়া হলো। জুম্মার আগে নওজোয়ান মদিনায় না আসলে নওজোয়ানের বদলে আবু জরকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হবে।


মুক্তি পেয়ে নওজোয়ান ছুটলো মাইলের পর মাইল দূরে তার বাড়ির দিকে। আবুজর রা. চলে গেলেন তাঁর বাড়িতে।এদিকে দেখতে দেখতে জুম্মাবার এসে গেছে, নওজোয়ানের কোন খবর নেই।


হযরত উমর রা. রাষ্ট্রীয় পত্রবাহক পাঠিয়ে দিলেন আবুজর গিফারি রা. এর কাছে। পত্রে লিখা আজ শুক্রবার বাদ জুমা সেই যুবক যদি না আসে আইন মোতাবেক আবুজর গিফারির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে। আবুজর যেন সময় মত জুমার প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে নববীতে হাজির হয়।


খবর শোনে সারা মদীনায় থমথমে অবস্থা। একজন নিষ্পাপ সাহাবী আবুজর গিফারী আজ বিনা দোষে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হবে।


জুমার পর মদিনার সবাই মসজিদে নববীর সামনে হাজির। সবার চোখে পানি। জল্লাদ প্রস্তুত। জীবনে কতজনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে তার হিসাব নেই। কিন্তু আজ কিছুতেই চোখের পানি আটকাতে পারছে না। আবুজরের মত একজন সাহাবী সম্পূর্ন বিনা দোষে আজ মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হবে, এটা মদীনার কেউ মেনে নিতে পারছে না। এমনকি মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদানকারী খলিফা উমর রা. ও অনবরত কাঁদছেন। তবু আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কারো পরিবর্তনের হাত নেই। আবু জর রা. তখন ও নিশ্চিন্তে মনে হাসি মুখে দাড়িয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। জল্লাদ ধীর পায়ে আবু জর রা. এর দিকে এগুচ্ছেন আর কাদছেন। আজ যেন জল্লাদের পা চলে না। পায়ে যেন কেউ পাথর বেঁধে রেখেছে।


এমন সময় এক সাহাবী জল্লাদকে বললো, হে জল্লাদ একটু থামো। মরুভুমির ধুলার ঝড় উঠিয়ে ঐ দেখ কে যেন আসতেছে। হতে পারে ঐটা নওজোয়ানের ঘোড়ার ধুলি। একটু দেখে নাও, তারপর না হয় আবু জরের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করিও।


ঘোড়াটি কাছে আসলে দেখা যায় সত্যিই এটা ঐ নওজোয়ান। নওজোয়ান দ্রুত খলিফার সামনে এসে বললো, হুযুর বেয়াদবি মাফ করবেন। রাস্তায় যদি ঘোড়ার পা'য়ে ব্যাথা না পেত,তবে সঠিক সময়েই আসতে পারতাম।


বাড়িতে আমি একটুও দেরী করি নাই। বাড়ি পৌছে গচ্ছিত আমানত ও ঋন পরিশোধ করি এবং  তারপর বাড়ি এসে বাবা, মা এবং নববধুর কাছে সব খুলে বলে চিরবিদায় নিয়ে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এখন আবু জর রা. ভাইকে ছেরে দেন, আমাকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে পবিত্র করুন। কেয়ামতে খুনি হিসেবে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে চাই না।


আশেপাশে সব নিরব থমথমে অবস্থা।

সবাই হতবাগ, কি হতে চলেছে। 


যুবকের পুনরায় ফিরে আসাটা অবাককরে দিলো সবাইকে। খলিফা হযরত উমর রা. বললেন, তুমি জানো তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে, তারপরে ও কেন ফিরে এলে।


উত্তরে সেই যুবক বলে:- আমি ফিরে এসেছি, কেউ যাতে বলতে না পারে, এক মুসলমানের বিপদে আরেক মুসলামান সাহায্য করতে এগিয়ে এসে নিজেই বিপদে পড়ে গেছিলো।


এবার হযরত উমর রা. হযরত আবু জর গেফারী রা. কে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কেন না চেনা সত্যেও এমন জামিনদার হলেন।


উত্তরে হযরত আবু জর গেফারী রা. বললেন, পরবর্তি কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান বিপদে পড়েছিলো, অতচ কেউ তাকে সাহায্য করতে আসেনি।


এমন কথা শুনে, হঠাৎ, বৃদ্বার দুই সন্তানের মাঝে একজন বলে উঠলেন, হে খলীফা, আপনি তাকে মুক্ত করে দিন। আমরা তার উপর করা দাবী তুলে নিলাম। 


হযরত উমর রা. বললেন, কেন.?


তাদের মাঝে একজন বলে উঠলো, কেউ যেন বলতে না পারে,এক মুসলমান অনাকাঙ্ক্ষিত ভূল করে নিজেই শিকার করে ক্ষমা চাওয়ার পরে ও অন্য মুসলমান তাকে ক্ষমা করেনি।

#সুবহানাল্লাহ ( হায়াতুস সাহাবা:-৮৪৪)

৩য় জুমা’ ১৯ যুল হাজ্জাহ ১৪৩৯হি: ৩১ আগষ্ট- ২০১৮

জুমার খুতবা 

***************


রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিদায় হজ্বের ভাষণ

========================================

সৈয়দ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আল আয্হারী

খতিব, মুসাফিরখানা জামে মসজিদ, নন্দনকানন, চট্টগ্রাম। সহকারী অধ্যাপক, সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম। #


بسم الله الرحمن الرحيم

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দশম হিজরি,৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে যে হজ্ব পালন করেন, ইসলামের ইতিহাসে তা ‘হজ্জাতুল বিদা’ বা ‘বিদায় হজ্ব’ নামে খ্যাত। দশম হিজরি জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরাফাতের বিশাল ময়দানে উপস্থিত প্রায় ১ লক্ষ ১৪ হাজার বা প্রায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার সাহাবীর সম্মুখে জীবনের অন্তিম ভাষণ দান করেন, যা বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের 'বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণ' নামে পরিচিত।


১০ম হিজরীর যুলক্বা‘দাহ মাসের চারদিন বাকী থাকতে শনিবার যোহরের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায় লক্ষাধিক সাহাবীর এক বিরাট দল সমভিব্যাহারে মদীনা হ’তে মক্কার পথে হজ্ব আদায়ের জন্যে রওয়ানা হ’লেন। অনবরত আট দিন পথ চলার পর যিলহজ্ব মাসের ৪ তারিখ রোজ শনিবার মক্কা মুয়ায্যামায় প্রবেশ করেন, ৮ জিলহজ সাহাবিদের সঙ্গে নিয়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিনায় তাশরীফ নিয়ে গেলেন। দশম হিজরি জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে আয়োজিত হয় বিশ্বমানবতায় এক মহাসমাবেশ। ওই দিনটি ছিল ইসলামের গৌরবময় ও সুউচ্চ মর্যাদা বিকাশের দিন, যার ফলে প্রাক-ইসলামি অন্ধকার যুগের যাবতীয় কুসংস্কার ও অহেতুক কাজকর্ম বিলুপ্ত হয়ে গেল।


এ দিন ছিল শুক্রবার, ভোরে নামায আদায় করে মিনা থেকে আরাফাতের দিকে রওনা হলেন। লাখো কণ্ঠের গগনবিদারী ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে দুই পাশের পর্বতমালা কেঁপে উঠল। আরাফাহ ময়দানের পূর্বদিকে ‘নামিরা’ নামক স্থানে তাঁবু স্থাপন করা হলো, সেখানে পৌঁছে দুপুর পর্যন্ত তাঁবুতে অবস্থান করেন। জুমার সালাত আদায় করে তিনি ‘কচওয়া’ নামক উষ্ট্রীর উপর আরোহন করে আরাফা’র সন্নিকটে ‘আরনা’ প্রান্তরে উপস্থিত হয়ে এ বিশাল সমাবেশে তাঁর ঐতিহাসিক বিদায় হজ্বের খুতবা বা ভাষণ প্রদান করেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ ভাষণ ছিল মূলত আল্লাহর দ্বীনের বিজয়ের চূড়ান্ত ঘোষণা। আর তাই তো সেদিন নাযিল হয়েছিল 

الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا

“আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের উপরে আমার নে‘মতকে পরিপূর্ণ করলাম আর ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম’ (সুরা মায়েদা, আয়াত-৩)।


দীর্ঘ ২৩ বছরে কঠিন সাধনা আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান স্রষ্টার ইচ্ছার স্বরূপে আরব জাহানকে গড়ে তুলেছিলেন। আরাফাত ময়দানে বিদায় হজ্বের ভাষণে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল ইসলামের সেই মর্মবানী। ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ অনুযায়ী মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে এই ভাষণে চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা ছিল। ইসলাম ধর্ম যে ধাপে ধাপে ও পর্যায়ক্রমে পূর্ণতা পেয়েছিলো, তারই চূড়ান্ত ঘোষণা ছিলো মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ ভাষণ।


এ ভাষণে ইসলাম ধর্মের মর্মবাণী সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছিলো। মুসলিম জাতির সাফল্যের ধারা বজায় রাখতে মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল উপাসনামূলক অনুশাসন ছিলো না, বরং মানবসমাজের জন্য করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাষায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপদেশও ছিলো এ ভাষনে।


আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, তাঁর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি, মানবজাতির ঐক্য, আধ্যাত্মিক ভ্রাতৃত্ব, সামাজিক স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক সাম্য ইত্যাদি সমাজ বিনির্মাণের অন্যতম সব বিষয়ই এই ভাষণের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। এই ভাষণে তাকওয়া বা দায়িত্বনিষ্ঠতার কথা গুরুত্ব দেয়া হয়েছিলো এবং পাপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়েছিলো। আল্লাহর প্রতি দায়িত্ব বা হক্কুল্লাহ ও মানবস¤প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব বা হক্কুল ইবাদের মধ্যে সীমারেখা টেনে দেয়া হয়েছিলো তাঁর এ ভাষনে।


হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ভাষণে সমাজ ও রাষ্ট্রে অরাজকতা, বিদ্রোহ এবং কুপরামর্শ প্রদানকারী শয়তানদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই ভাষণে বিভিন্ন ধরণের সুদপ্রথা রহিত করে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিলো। নারীর পূর্ণ নিরাপত্তা, সম্মান ও অধিকারকে নিশ্চিত করার জন্য মুসলমানদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো এই ভাষণে। মানুষে মানুষে আত্মীয়তার বন্ধন, বিশেষ করে রক্তের সম্পর্কের উপর সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ ও সামাজিক কুসংস্কার থেকে মানুষের মুক্তি লাভের ওপর জোর দেয়া হয়েছিলো।


হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই ঐতিহাসিক ভাষণে স্বর্গ-মর্তের সকল কিছুর ওপর আল্লাহর কর্তৃত্ব সুনিশ্চিত করা হয়েছিলো এবং মানুষকে এসব কিছুর আমানতদার হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। আল্লাহর মালিকানায় সবার অধিকার স্বীকৃত বলে উত্তরাধিকার আইনের ওপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করা হয়। আমানতের খেয়ানতকারীর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা ও মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্ভ্রমের নিরাপত্তা বিধানের জন্য কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সাম্য, স্বাধীনতা, ন্যায়পরায়ণতা, ভ্রাতৃত্ব এবং বদান্যতা ও মানবতার পরম ধর্ম হিসেবে ইসলামকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিলো।


আরাফাতের ময়দানের উক্ত ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি এরশাদ করেন, 

أَمَّا بعد، أيّهَا النّاس، اسْمَعُوا منّي أُبّينْ لَكُمْ، فَإنّيَ لاَ أَدْرِي، لعَليّ لاَ أَلْقَاكُمْ بَعْدَ عَامي هَذَا، في مَوْقِفي هذا،

১. ‘হে জনগণ! তোমরা আমার কথা শোন! কারণ আমি হয়তো এরপর তোমাদের সঙ্গে এই স্থানে আর মিলিত হবনা’।[দারেমী হা/২২৭, ফিক্বহুস সীরাহ পৃঃ ৪৫৬, সনদ ছহীহ।]


أَيُهَا النَّاس، إنّ دِمَاءَكُمْ وَأمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ عَليكُمْ حَرَامٌ إلى أنْ تَلْقَوْا رَبَّكُمْ، كَحُرمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا في شَهْرِ كُمْ هَذَا في بَلَدِكُم هَذَا

২. ‘নিশ্চয়ই তোমাদের রক্ত, সম্পদ ও সম্ভ্রমকে তোমাদের পরস্পরের উপরে এমনভাবে হারাম, যেমনভাবে আজকের এই দিন, এই মাস, এই শহর তোমাদের জন্য হারাম’ (অর্থাৎ এর সম্মান বিনষ্ট করা হারাম) ।


أَلَا كُلُّ شَيْءٍ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ تَحْتَ قَدَمَيَّ مَوْضُوعٌ ، وَدِمَاءُ الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعَةٌ ، وَإِنَّ أَوَّلَ دَمٍ أَضَعُ مِنْ دِمَائِنَا دَمُ ابْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ ، كَانَ مُسْتَرْضِعًا فِي بَنِي سَعْدٍ فَقَتَلَتْهُ هُذَيْلٌ 

৩. ‘শুনে রাখ, জাহেলী যুগের সকল কিছু আমার পায়ের তলে পিষ্ট হ’ল। জাহেলী যুগের সকল রক্তের দাবী পরিত্যক্ত হ’ল। আমাদের রক্ত সমূহের প্রথম যে রক্তের দাবী আমি পরিত্যাগ করছি, সেটি হ’ল রাবী‘আহ ইবনুল হারেছ-এর শিশু পুত্রের রক্ত; যে তখন বনু সা‘দ গোত্রে দুগ্ধ পান করছিল, আর হোযায়েল গোত্রের লোকেরা তাকে হত্যা করেছিল’।


وَرِبَا الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ ، وَأَوَّلُ رِبًا أَضَعُ رِبَانَا رِبَا عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ، فَإِنَّهُ مَوْضُوعٌ كُلُّهُ 

৪. “জাহেলী যুগের সূদপ্রথা পরিত্যক্ত হ’ল। আমাদের সূদ সমূহের প্রথম যে সূদ আমি পরিত্যক্ত বলে ঘোষনা দিচ্ছি সেটা হ’ল আববাস ইবনু আব্দিল মুত্ত¡ালিবের পাওনা সূদ। সূদের সকল প্রকার কারবার সম্পূর্ণরূপে পরিত্যক্ত করে দেওয়া হ’ল।”


فَاتَّقُوا اللَّهَ فِي النِّسَاءِ ، فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانِ اللَّهِ ، وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللَّهِ ، وَلَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لَا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ ، فَإِنْ فَعَلْنَ ذَلِكَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ ، وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ ،

৫. ‘তোমরা মহিলাদের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় কর। কেননা তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানত হিসাবে গ্রহণ করেছ এবং আল্লাহর কালেমার মাধ্যমে তাদেরকে হালাল করেছ। তাদের উপর তোমাদের প্রাপ্য হ’ল, তারা যেন তোমাদের বিছানা এমন কাউকে মাড়াতে না দেয়, যাদেরকে তোমরা অপছন্দ কর। যদি তারা সেটা করে, তবে তোমরা তাদের মৃদু প্রহার করবে, যা গুরুতর হবে না। আর তোমাদের উপরে তাদের প্রাপ্য হক হ’ল, তোমরা যেন তাদের জন্য সুন্দর রূপে খাদ্য ও পরিধেয়ের যোগান দাও।


وَقَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا لَنْ تَضِلُّوا بَعْدَهُ إِنِ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ ، كِتَابُ اللَّهِ ،

৬. ‘আর জেনে রাখ, আমি তোমাদের মাঝে রেখে যাচ্ছি এমন এক বস্তু, যা মযবুতভাবে ধারণ করলে তোমরা কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না। আর সেটি হ’ল আল্লাহর কেতাব’।[মুসলিম হা/১২১৮, মিশকাত হা/২৫৫৫ ‘মানাসিক’ অধ্যায়।]


أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهُ لا نَبِيَّ بَعْدِي , وَلا أُمَّةَ بَعْدَكُمْ , أَلا فَاعْبُدُوا رَبَّكُمْ , وَصَلُّوا خَمْسَكُمْ , وَصُومُوا شَهْرَكُمْ , وَأَدُّوا زَكَاةَ أَمْوَالِكُمْ طَيِّبَةً بِهَا أَنْفُسُكُمْ , وَأَطِيعُوا وُلاةَ أَمْرِكُمْ ، تَدْخُلُوا جُنَّةَ رَبِّكُمْ " .

৭. ‘হে জনগণ! শুনে রাখ আমার পরে কোন নবী নেই এবং তোমাদের পরে আর কোন উম্মাত নেই। অতএব তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ইবাদত কর, পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় কর, রামাযান মাসের রোযা রাখো, সন্তুষ্ট চিত্তে তোমাদের মালের যাকাত দাও, তোমাদের প্রভুর গৃহে হজ্জ আদায় কর, তোমাদের শাসকদের আনুগত্য কর, এ সবের মাধ্যমে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের জান্নাতে প্রবেশ কর’।[ত্বাবারাণী, আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৭১; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩২৩৩।]


وَأَنْتُمْ تُسْأَلُونَ عَنِّي، فَمَا أَنْتُمْ قَائِلُونَ؟ قَالُوا: نَشْهَدُ أَنَّكَ قَدْ بَلَّغْتَ وَأَدَّيْتَ وَنَصَحْتَ ، فَقَالَ: بِإِصْبَعِهِ السَّبَّابَةِ ، يَرْفَعُهَا إِلَى السَّمَاءِ وَيَنْكُتُهَا إِلَى النَّاسِ اللَّهُمَّ ، اشْهَدْ ، اللَّهُمَّ ، اشْهَدْ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ 

৮. আর তোমরা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। তখন তোমরা কি বলবে? লোকেরা বলল, আমরা সাক্ষ্য দেব যে, আপনি সবকিছু পৌঁছে দিয়েছেন, দাওয়াতের হক আদায় করেছেন এবং উপদেশ দিয়েছেন’। অতঃপর তিনি শাহাদাত অঙ্গুলি মুবারক আসমানের দিকে উঁচু করে ও সমবেত জনমন্ডলীর দিকে নীচু করে তিনবার বললেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক’।[মুসলিম, মিশকাত হা/২৫৫৫।]


ফাযালাহ বিন ওবায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন,

أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِالْمُؤْمِنِ؟ مَنْ أَمِنَهُ النَّاسُ عَلَى أَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ وَالْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ النَّاسُ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ وَالْمُجَاهِدُ مَنْ جَاهَدَ نَفْسَهُ فِى طَاعَةِ اللهِ وَالْمُهَاجِرُ مَنْ هَجَرَ الْخَطَايَا وَالذُّنُوبَ

৯. ‘আমি কি তোমাদেরকে মুমিন সম্পর্কে খবর দিব না? সে ঐ ব্যক্তি যার হাত থেকে অন্যদের মাল ও জান নিরাপদ থাকে। আর মুসলিম সেই, যার যবান ও হাত থেকে অন্যেরা নিরাপদ থাকে। আর মুজাহিদ সেই, যে আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সর্বাত্মকভাবে নিয়োজিত করে এবং মুহাজির সেই, যে সকল প্রকার অন্যায় ও পাপকর্ম সমূহ পরিত্যাগ করে’। [ আহমাদ হা/২৪০০৪; ছহীহ ইবনু হিববান হা/৪৮৬২; ছহীহাহ হা/৫৪৯।]

উক্ত কথাটি হযরত আব্দুল্লাহ বিন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় অন্যভাবে এসেছে,

الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ، وَالْمُهَاجِرُ مَنْ هَجَرَ مَا نَهَى اللهُ عَنْهُ ‘মুসলিম সেই, যার যবান ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে এবং মুহাজির সেই, যে আল্লাহর নিষেধ সমূহ পরিত্যাগ করে’।[ বুখারী হা/১০; মিশকাত হা/৬।]


হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আরাফাতের ময়দানে উটনীর পিঠে সওয়ার অবস্থায় প্রদত্ত ভাষণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন,

أَلاَ وَإِنِّى فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ وَأُكَاثِرُ بِكُمُ الأُمَمَ فَلاَ تُسَوِّدُوا وَجْهِى أَلاَ وَإِنِّى مُسْتَنْقِذٌ أُنَاسًا وَمُسْتَنْقَذٌ مِنِّى أُنَاسٌ فَأَقُولُ يَا رَبِّ أُصَيْحَابِى. فَيَقُولُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِى مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ-

১০. ‘মনে রেখ! আমি তোমাদের সকলের আগেই হাউয কাউছারে পৌঁছে যাব। আর আমি অন্য সকল উম্মতের মধ্যে তোমাদের আধিক্য নিয়ে গর্ব করব। অতএব তোমরা আমার চেহারাকে কালেমালিপ্ত করো না। মনে রেখ! আমি অনেককে সেদিন মুক্ত করব এবং অনেকে সেদিন আমার থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। তখন আমি বলব, ‘হে আমার প্রতিপালক! এরা তো আমার সাথী। তিনি বলবেন, তুমি কি জানো না তোমার পরে কী করেছিল’ (ইবনু মাজাহ হা/৩০৫৭)।


হযরত সাহল বিন সা‘দ রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় এসেছে, এ জওয়াব পাওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করবেন, سُحْقًا سُحْقًا لِمَنْ غَيَّرَ بَعْدِى ‘দূর হও দূর হও! যে ব্যক্তি আমার পরে আমার দ্বীনকে পরিবর্তন করেছ’।[ বুখারী হা/৬৫৮৩-৮৪; মুসলিম হা/২২৯৭ (৩২); মিশকাত হা/৫৫৭১।]


১১. একই রাবী কর্তৃক অন্য বর্ণনায় এসেছে, أَلاَ إِنَّ الْمُسْلِمَ أَخُو الْمُسْلِمِ فَلَيْسَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ مِنْ أَخِيهِ شَىْءٌ إِلاَّ مَا أَحَلَّ مِنْ نَفْسِهِ ‘মনে রেখ! এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই। অতএব কোন মুসলমানের জন্য তার ভাই-এর কোন বস্ত্ত হালাল নয় কেবল অতটুকু ব্যতীত যতটুকু সে তার জন্য হালাল করে’ (তিরমিযী হা/৩০৮৭)।


হযরত ইবনু আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমার বর্ণনায় এসেছে, لاَ يَحِلُّ لاِمْرِئٍ مِنْ مَالِ أَخِيهِ إِلاَّ مَا أَعْطَاهُ مِنْ طِيبِ نَفْسٍ وَلاَ تَظْلِمُوا ‘কোন ব্যক্তির মাল তার ভাই-এর জন্য হালাল নয়। যতক্ষণ না সে তাকে খুশী মনে তা দেয়। আর তোমরা যুলুম করো না...।[বায়হাক্বী হা/১১৩০৪; ইরওয়া হা/১৪৫৯-এর আলোচনা ১/২৮১, সনদ হাসান।]


১২. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও এরশাদ করেন,

وَاعْلَمُوا أَنَّ الْقُلُوبَ لاَ تَغِلُّ عَلَى ثَلاَثٍ: إِخْلاَصِ الْعَمَلِ للهِ، وَمُنَاصَحَةِ أُولِى الأَمْرِ، وَعَلَى لُزُومِ جَمَاعَةِ الْمُسْلِمِينَ، فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ تُحِيطُ مِنْ وَرَائِهِمْ-

জেনে রেখ, তিনটি বিষয়ে মুমিনের অন্তর খিয়ানত করে না : (ক) আল্লাহর উদ্দেশ্যে এখলাসের সাথে কাজ করা। (খ) শাসকদের জন্য কল্যাণ কামনা করা এবং (গ) মুসলমানদের জামা‘আতকে আঁকড়ে ধরা। কেননা তাদের দো‘আ তাদেরকে পিছন থেকে (শয়তানের প্রতারণা হ’তে) রক্ষা করে’ (দারেমী হা/২২৭, সনদ ছহীহ)। অর্থাৎ মুমিন যতক্ষণ উক্ত তিনটি স্বভাবের উপরে দৃঢ় থাকবে, ততক্ষণ তার অন্তরে খিয়ানত বা বিদ্বেষ প্রবেশ করবে না। যা তাকে ইলম প্রচারের কাজে বাধা দেয়। আর তিনিই হবেন কামেল মুমিন’ (মির‘আত হা/২২৯-এর ব্যাখ্যা)।


ছাহেবে মিরক্বাত বলেন, لُزُومِ جَمَاعَةِ الْمُسْلِمِينَ অর্থ আক্বীদা ও সৎকর্মে সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং জুম‘আ, জামা‘আত ও অন্যান্য বিষয়ে সকলে অংশগ্রহণ করা। فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ تُحِيطُ مِنْ وَرَائِهِمْ অর্থ তাদের দো‘আ তাদেরকে শয়তানী প্রতারণা এবং পথভ্রষ্টতা হ’তে পিছন থেকে তাদের রক্ষা করে। 

এর মধ্যে ধমকি রয়েছে, যে ব্যক্তি জামা‘আত তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত থেকে বেরিয়ে যাবে, সে ব্যক্তি জামা‘আতের বরকত ও মানুষের দো‘আ থেকে বঞ্চিত হবে। এছাড়াও এর মধ্যে ইঙ্গিত রয়েছে যে, জামা‘আতবদ্ধ জীবন যাপন করা অধিক উত্তম বিচ্ছিন্ন থাকার চাইতে’। 

কোন কোন বর্ণনায় مَنْ وَرَائَهُمْ এসেছে। অর্থাৎ তাদের পিছনে যারা আছে, তারা তাকে রক্ষা করে। ত্বীবী বলেন, এর দ্বারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতকে বুঝানো হয়েছে। যাদের দো‘আ তাদের পরবর্তী বংশধরগণকেও পথভ্রষ্টতা হ’তে রক্ষা করে’ (মিরক্বাত, শরহ মিশকাত হা/২২৮-এর ব্যাখ্যা)।


ইসলামের পূর্ণাঙ্গতার সনদ নাযিল : 

-----------------------------------

সারগর্ভ ও মর্মস্পর্শী বিদায়ী ভাষণ শেষে আল্লাহর পক্ষ হ’তে নাযিল হয় এক ঐতিহাসিক দলীল, ইসলামের পূর্ণতার সনদ, যা ইতিপূর্বে নাযিলকৃত কোন আসমানী ধর্মের জন্য নাযিল হয়নি। 

الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا

‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের উপরে আমার নে‘মতকে পরিপূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম’ (মায়েদাহ-৩)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যবানে পাকে এই আয়াত শ্রবণ করে হযরত ওমর ফারূক রাদিয়াল্লাহু আনহু কেঁদে উঠলেন। অতঃপর লোকদের প্রশ্নের জওয়াবে বললেন, ‘পূর্ণতার পরে তো কেবল ঘাটতিই এসে থাকে’।[আর-রাহীক্ব পৃঃ ৪৬০; আল-বিদায়াহ ৫/২১৫।]


বস্তুতঃ এই আয়াত আল্লাহর প্রিয় নবীর ইন্তিকালের আভাস, এ আয়াত নাযিলের মাত্র ৮১ দিন পর তিনি ওফাত লাভ করেন। এই আয়াত প্রসঙ্গে জনৈক ইহুদী পন্ডিত হযরত ওমর ফারূক রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন, عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، أَنَّ الْيَهُودَ، قَالُوا لِعُمَرَ: إِنَّكُمْ تَقْرَءُونَ آيَةً، لَوْ أُنْزِلَتْ فِينَا لَاتَّخَذْنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ عِيدًا، যদি এরূপ আয়াত আমাদের উপর নাযিল হ’ত, তাহ’লে আমরা ঐদিনটিকে ঈদের দিন হিসাবে উদযাপন করতাম’।


জওয়াবে হযরত ওমর ফারূক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, فقال عمر: قد علمت اليوم الذي أنزلت، والمكان الذي أنزلت فيه، نزلت في يوم الجمعة ويوم عرفة، وكلاهما بحمد الله لنا عيد. ঐদিনে একটি নয়, বরং দু’টি ঈদ একসঙ্গে উদযাপন করেছিলাম।- (১) ঐদিন ছিল শুক্রবার, যা আমাদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন (২) ঐদিন ছিল ৯ই যিলহাজ্জ আরাফাহর দিন। যা হ’ল উম্মতের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে বার্ষিক ঈদের দিন’।[তিরমিযী হা/৩০৪৪, সনদ ছহীহ।]


মিনায় ২য় ভাষণ: 

===========

সুনানে আবু দাঊদের বর্ণনা অনুযায়ী ১০ই যিলহাজ্জ কুরবানীর দিন সকালে সূর্য উপরে উঠলে [আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৬৭১।] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি সাদা-কালো মিশ্রিত বাহনে সওয়ার হয়ে (কংকর নিক্ষেপের পর) জামরায়ে আক্বাবায় এক ভাষণ দেন। ছহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে যে, এদিনে তিনি এরশাদ করেন,

"لِتَأْخُذُوا مَنَاسِكَكُمْ، فَإِنِّي لَا أَدْرِي لَعَلِّي لَا أَحُجُّ بَعْدَ حَجَّتِي هَذِهِ"

(১) হে জনগণ! তোমরা আমার নিকট থেকে হজ্জের নিয়ম-কানূন শিখে নাও। কারণ আমি এ বছরের পর আর হজ্জ করতে পারব না’।[মুসলিম, মিশকাত হা/২৬১৮।] তিনি আরও এরশাদ করেন, 

إِنَّ الزَّمَانَ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللَّه السَّماواتِ والأَرْضَ: السَّنةُ اثْنَا عَشَر شَهْرًا، مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُم: ثَلاثٌ مُتَوَالِيَاتٌ: ذُو الْقعْدة، وَذو الْحجَّةِ، والْمُحرَّمُ، وَرجُب مُضَر الَّذِي بَيْنَ جُمادَى وَشَعْبَانَ

২. ‘কালচক্র আপন রূপে আবর্তিত হয়, যেদিন থেকে আসমান ও যমীন সৃষ্টি হয়েছে। বছর বারো মাসে হয়। তারমধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস। তিনটি পরপর, যুলক্বা‘দাহ, যুলহিজ্জাহ ও মুহাররম এবং রজব মুদার’ [মুদার গোত্রের দিকে সম্পর্কিত করে ‘রজবে মুদার’ বলা হয়েছে।] হ’ল জুমাদা ও শা‘বানের মধ্যবর্তী।[বুখারী হা/১৭৪১ ‘মিনায় ভাষণ’ অনুচ্ছেদ; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৬৫৯।]


৩. অতঃপর তিনি এরশাদ করেন,

أَيُّ شَهْرٍ هَذَا؟ قلْنَا: اللَّه ورسُولُهُ أَعْلَم، فَسكَتَ حَتَّى ظنَنَّا أَنَّهُ سَيُسمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ، قَالَ: ্রأَليْس ذَا الْحِجَّةِ؟গ্ধ قُلْنَا: بلَى، قَالَ: فأَيُّ بلَدٍ هَذَا؟ قُلْنَا: اللَّه وَرسُولُهُ أَعلمُ، فَسَكَتَ حتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سيُسمِّيهِ بغَيْر اسْمِهِ، قَالَ: أَلَيْسَ الْبَلْدةَ؟ قُلْنا: بلَى، قَالَ: فَأَيُّ يَومٍ هذَا؟ قُلْنَا: اللَّه ورسُولُهُ أَعْلمُ، فَسكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّه سيُسمِّيهِ بِغيْر اسمِهِ، قَالَ: أَلَيْسَ يَوْمَ النَّحْر؟ قُلْنَا: بَلَى، قَالَ: فإِنَّ دِماءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وأَعْراضَكُمْ عَلَيْكُمْ حرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، في بَلَدِكُمْ هَذا، في شَهْرِكم هَذَا، 

এটি কোন মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক অবগত। অতঃপর তিনি চুপ থাকলেন। আমরা ভাবলাম হয়ত তিনি এর পরিবর্তে অন্য কোন নাম রাখবেন। তিনি বললেন, এটা কি যুলহিজ্জাহ নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, এটি কোন শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক অবগত। অতঃপর তিনি চুপ থাকলেন। আমরা ভাবলাম হয়ত তিনি এর পরিবর্তে অন্য কোন নাম রাখবেন। তিনি বললেন, এটা কি মক্কা নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আজ কোন দিন? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক অবগত। অতঃপর তিনি চুপ থাকলেন। আমরা ভাবলাম হয়ত তিনি এর পরিবর্তে অন্য কোন নাম রাখবেন। তিনি বললেন, আজ কি কুরবানীর দিন নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, জেনে রেখ, তোমাদের রক্ত, তোমাদের মাল-সম্পদ, তোমাদের ইয্যত তোমাদের উপর এমনভাবে হারাম যেমনভাবে তোমাদের আজকের এই দিন, এই শহর, এই মাস তোমাদের জন্য হারাম (অর্থাৎ এর সম্মান বিনষ্ট করা হারাম)।

وَسَتَلْقَوْنَ ربَّكُم فَيَسْأَلُكُمْ عَنْ أَعْمَالِكُمْ، أَلا فَلا تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ، 

৪. ‘সত্বর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সাথে মিলিত হবে। অতঃপর তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন। সাবধান! আমার পরে তোমরা পুনরায় ভ্রষ্টতার দিকে ফিরে যেয়ো না এবং একে অপরের গর্দান মেরো না বা হত্যা করোনা।


أَلا لِيُبَلِّغ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ، فلَعلَّ بعْضَ مَنْ يَبْلغُه أَنْ يَكُونَ أَوْعَى لَه مِن بَعْضِ مَنْ سَمِعه، ثُمَّ قال: أَلا هَلْ بَلَّغْتُ؟ أَلا هَلْ بلَّغْتُ؟ قُلْنا: نَعَمْ، قَالَ: اللَّهُمَّ اشْهَدْ 

৫. ‘ওহে জনগণ! আমি কি পৌঁছে দিয়েছি? লোকেরা বলল, হাঁ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক। উপস্থিতগণ যেন অনুপস্থিতগণকে কথাগুলি পৌঁছে দেয়। কেননা উপস্থিত শ্রোতাদের অনেকের চাইতে অনুপস্থিত যাদের কাছে এগুলি পৌঁছানো হবে, তাদের মধ্যে অনেকে অধিক বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি রয়েছে’।[বুখারী হা/১৭৪১ ‘মিনায় ভাষণ’ অনুচ্ছেদ; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৬৫৯।]


অন্য এক বর্ণনায় এসেছে যে, উক্ত ভাষণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও এরশাদ করেন,

أَلاَ لاَ يَجْنِى جَانٍ إِلاَّ عَلَى نَفْسِهِ لاَ يَجْنِى وَالِدٌ عَلَى وَلَدِهِ وَلاَ مَوْلُوْدٌ عَلَى وَالِدِهِ 

৬. ‘মনে রেখ, অপরাধের শাস্তি অপরাধী ব্যতীত অন্যের উপরে বর্তাবে না। মনে রেখ, পিতার অপরাধের শাস্তি পুত্রের উপরে এবং পুত্রের অপরাধের শাস্তি পিতার উপরে বর্তাবে না’।


(৭) عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، خَطَبَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ ، فَقَالَ : إِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ يَئِسَ أَنْ يُعْبَدَ بِأَرْضِكُمْ وَلَكِنَّهُ رَضِيَ أَنْ يُطَاعَ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ مِمَّا تَحْقِرُونَ مِنْ أَعْمَالِكُمْ ، فَاحْذَرُوا 

মনে রেখ, শয়তান তোমাদের এই শহরে পূজা পাওয়া থেকে চিরদিনের মত নিরাশ হয়ে গেছে। তবে যে সব কাজগুলিকে তোমরা তুচ্ছ মনে কর, সেসব কাজে তার আনুগত্য করা হবে, আর তাতেই সে খুশী থাকবে’।[তিরমিযী হা/২১৫৯; ইবনু মাজাহ হা/২৭৭১ ‘হজ্জ’ অধ্যায়; মিশকাত হ/২৬৭০।] যেমন মিথ্যা, প্রতারণা, ঝগড়া-মারামারি ইত্যাদি। যা পরবর্তীদের মধ্যে ঘটেছিল (মির‘আত)। হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় এসেছে وَلَكِنْ فِى التَّحْرِيشِ بَيْنَهُمْ ‘কিন্তু শয়তানী প্ররোচনা বাকী থাকবে’।[ মুসলিম হা/২৮১২; মিশকাত হা/৭২। ]


এদিন তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে আরও এরশাদ করেন, 

يَا أَيُّهَا النَّاسُ , إِنِّي قَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا إِنِ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ فَلَنْ تَضِلُّوا أَبَدًا كِتَابَ اللَّهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِ 

‘আমি তোমাদের মাঝে দু’টি বস্তু রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা তা শক্তভাবে ধারণ করে থাকবে, ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। একটি আল্লাহর কিতাব, অপরটি তাঁর নবীর সুন্নাত’।[মুওয়াত্ত¡া মালেক, মিশকাত হা/১৮৬।]


খুম কূয়ার নিকটে ভাষণ: হজ্জ থেকে ফেরার পথে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী ‘খুম’ নামক কূয়ার নিকটে যাত্রাবিরতি করে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। যাতে তিনি নবী পরিবারের উচ্চ মর্যাদা ব্যাখ্যা করেন। অতঃপর হযরত আলীর হাত ধরে এরশাদ করেন, مَنْ كُنْت مَوْلَاهُ فِعْلِيٌّ مَوْلاهُ ‘আমি যার বন্ধু, আলীও তার বন্ধু’।[আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৬০৮২, ছহীহাহ হা/১৭৫০।] 

وصلى الله وسلم على سيدنا محمد وعلى آله وصحبه اجمعين

Wednesday, August 29, 2018

নামাযে নিমস্বরে আমীন বলা সুন্নত

আমীন সম্পর্কেও কিছু লোক বাড়াবাড়ি করে। তারা বলে নামাযে আমীন জোরে বলতে হবে। আস্তে বলা সুন্নতের পরিপন্থী। তাদের একথা সঠিক নয়। হাদীস শরীফ, অধিকাংশ সাহাবী ও তাবেয়ী’র আমল দ্বারা একথাই প্রমাণিত হয় যে, আমীন আস্তে বলাই সুন্নত।

নিমস্বরে আমীন বলা অধিকাংশ সাহাবী ও তাবেয়ীর আমল


ইমাম ইবনে জারীর তাবারী র. (মৃ.৩১১ হি.) তাঁর তাহযীবুল আছার গ্রন্থে বলেছেন,

وروي ذلك عن ابن مسعود وروي عن النخعي والشعبى وابراهيم التيمى كانوا يخفون بآمين والصواب ان الخبر بالجهر بها والمخافتة صحيحان وعمل بكل من فعليه جماعة من العلماء وان كنت مختارا خفض الصوت بها إذكان اكثر الصحابة والتابعين على ذلك . (شرح البخاري لابن بطال المتوفى ৪৪৯ه باب جهر المأموم بالتأمين، والجوهر النقى


অর্থাৎ ইবনে মাসউদ রা., ইবরাহীম নাখায়ী র. শা’বী র. ও ইবরাহীম তায়মী র. সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা আমীন আস্তে বলতেন। সঠিক কথা হলো আমীন আস্তে বলা ও জোরে বলার উভয় হাদীসই সহীহ। এবং দুটি পন্থা অনুযায়ী এক এক জামাত আলেম আমলও করেছেন। যদিও আমি আস্তে আমীন বলাই অবলম্বন করি, কেননা অধিকাংশ সাহাবী ও তাবেয়ী এ অনুযায়ীই আমল করতেন। (দ্রঃ শারহুল বুখারী লিইবনে বাত্তাল,মৃত্যু ৪৪৯হিজরী; আল জাওহারুন নাকী, ২খ, ৫৮পৃ,)


ইবনে জারীর র. এর এ বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হলো যে, অধিকাংশ সাহাবী ও তাবেয়ীর আমল ছিল আমীন আস্তে বলা। তিনি নিজেও একজন বিখ্যাত মুহাদ্দিস হওয়া সত্ত্বেও আস্তে আমীন বলাকেই অবলম্বন করেছেন।

মদীনাবাসীর আমল:


মদীনা শরীফে ইমাম মালেক র. এর নিবাস ছিল। তিনিও ফতোয়া দিয়েছেন,

ويخفي من خلف الإمام آمين. المدونة-فى الركوع والسجود


অর্থাৎ মুকতাদী আস্তে আমীন বলবে। (আল-মুদাওয়ানা, ১খ.৭১ পৃ.)


মালেকী মাযহাবের প্রসিদ্ধ আলেম আল্লামা আহমদ আদ দরদের র. লিখেছেন,

وندب الاسرار به اى بالتأمين لكل من طلب منه.


অর্থাৎ ‘মুকতাদীর জন্য আস্তে আমীন বলাই মুস্তাহাব।’

কুফাবাসীর আমল:


এমনিভাবে কূফায় পনের শত সাহাবী বসবাস করতেন। এই কূফার সাধারণ আমল ছিল আমীন আস্তে বলা। ইবনে মাসউদ, তাঁর শিষ্যবর্গ, ইবরাহীম নাখায়ী, ইবরাহীম তায়মী ও শা‘বী প্রমুখ কূফার বড় বড় ফকীহ ও মুহাদ্দিস সকলে আমীন আস্তে বলার পক্ষপাতি ছিলেন।


মজার ব্যাপার হলো ওয়াইল রা. এর মাধ্যমে বর্ণিত জোরে আমীন বলার হাদীসটি সুফিয়ান ছাওরী রা. এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। সুফিয়ান ছাওরী ছিলেন আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীস অর্থাৎ হাদীস সম্রাট। অথচ তিনি নিজেও ছিলেন আস্তে আমীন বলার পক্ষে।


বোঝার সুবিধার্থে এখানে আমরা আলোচনাকে দুটি ভাগে ভাগ করব। এক. ইমামের আস্তে আমীন বলা। দুই. মুকতাদীর আস্তে আমীন বলা।

Monday, August 27, 2018

যে বক্তব্যের কারণে গ্রেপ্তার হলেন কাবা শরীফের ৷৷

ইমাম ও খতীব, শাইখ সালেহ আত্ তালিব হাফিযাল্লাহ্

'

তিনিই সর্বপ্রথম গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি যিনি একই সাথে কা'বা শরীফের ইমাম ও খতীবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ৷

তিনি তাঁর প্রদত্ব বয়ানে অশ্লীলতা ও ইসলামী শরীয়তে নিষিদ্ধ বস্তুগুলো থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব বলেন,  এবং যারা বেহায়াপনার প্রচার করছে তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করার আদেশ করেন,

যদিও তিনি তাঁর সব গুলো কথা অজ্ঞাত ব্যক্তিকে উদ্দেশ্যে করে বলেন কিন্তু যাদের বুঝার তারা বুঝে নিয়েছেন তিনি এই কথা গুলো কাকে সম্ভোধন করে বলেন নাই। 


নিম্নে সেই খুৎবা'র বঙ্গানুবাদ যার পর পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷


তিনি বলেন, মুনাফেকরা তাদের মঞ্চে বলে, তোমরা কুরআনের মজলিসকে বর্জন করো ৷ আমরা আমাদের মসজিদের মিম্বার থেকে স্পষ্ট ভাষায় তাদেরকে বলছি, হে মুসলমানরা তোমরা মুনাফেক ও বেইমানদের অনুষ্ঠানকে বর্জন করো ৷ 

তোমরা আল্লাহর নাফরমান এবং যারা এই সমাজের মধ্যে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনাকে চালু করছে তাদেরকে বয়কট করো ৷ আমরা ঐ কথায় বলব যা আমাদের পূর্বসূরী বড় বড় উলামায়ে কেরামগণ বলে গেছেন।


তাঁরা বলেছেন, তোমরা যে কোন ধরণের গোনাহের অনুষ্ঠানকে বর্জন করো এবং ঐ সমস্ত মানুষদের অনুষ্ঠানকে বর্জন করো যাদের কর্ম পদ্ধতী সন্দেহযুক্ত, এবং যারা নারীদেরকে রাস্তায় বের করে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনুমতি দেয়, যারা নারীদেরকে উলঙ্গপনার দিকে আহবান করে, যারা নারী-পুরুষের  অবাদে মেলামেশার দিকে উৎসাহিত করে বর্তমান সমাজে ফাসাদ শুরু করেছে, তাদেরকে বয়কট করুন ৷

যারা নেশাযুক্ত পানীয়কে বৈধতা দান করে তাদেরকে বৈকট করো ৷


আপনারা পরিপূর্ণভাবে গান-বাজনা এবং কমেডি, কৌতুক ও সিনেমার অনুষ্ঠানকে বয়কট করুন ৷ যদিও যারা এই সিনেমা ও কমেডি চালু করেছে তারা এটাকে নিছক বিনোদন মনে করে ৷


অথচ, এটা কেবল বিনোদন নয় বরং এই সিনেমার অনুমোদন দ্বারা একমাত্র উদ্দেশ্য হল পশ্চিমা চিন্তা-চেতনাকে লালন করা এবং সমাজের রন্ধে রন্ধে পশ্চিমা আদর্শ ও নীতিকে ঢুকিয়ে দেওয়া ৷ যে নাচ গানের এবং কমেডি নাটক সিনেমার অনুমোদন একেবারে, ইসলামী নেই ৷ ইসলামী নীতিতে এই কাজ হারাম, ইসলাম এর অনুমোদন প্রদান করে না ৷


 তারা অশ্লীলতাকে বিনোদন নামের পোষাক পরিয়ে এবং বেহায়াপনাকে মুক্তচিন্তা-চেতনার চাদর পরিয়ে উপস্থাপন করছে।  অথচ, এই বিনোদন দ্বারা কেবল এটাই উদ্দেশ্য যেন, তারা যুবক যুবতীদেরকে নাচ-গান, বেহায়াপনা ও অশ্লিলতা ও ইখতিলাত অর্থাৎ অবাদ মেলামেশার দিকে মাজনুন তথা পাগলপারা বানিয়ে দিতে পারে ৷

 

 তাদের এই অসৎ উদ্যেগ পবিত্র এই  ভূমির জন্য লজ্জাজনক বিষয়, এবং এই পবিত্র ভূমিকে লাঞ্চিত করার শামিল, তাদের এই অসৎ উদ্যেগ ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ সংকেত, এক সময় আসবে যখন এই বেহায়াপনায় 'কুদওয়াতুন লিশ্শাবাব' তথা যুবকদের উত্তম মডেল হিসাবে স্থান পাবে ৷


 হে সীমাহীন চরমপন্থীরা! 

তোমরা জনগণের ধন সম্পদকে অন্যায়ভাবে, অহেতুক পাপ কাজে খরচ করছো, এতে না আছে জনগণের কোন রকম উপকারের ছিটাফোঁটা, না আছে জনগণের কল্যান ৷


 হে চরমপন্থীরা!

 যদি তোমরা জনগনের পয়সাকে পাপকাজে খরচ করা বন্ধ না করো, তাহলে একদিন আসবে যেদিন এই অপরাদ ও পাপ তোমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে এবং তোমাদের জন্য বড়ই আফসোসের কারণ হবে, ফলে তোমরা পরাজয় বরণ করবে ৷


 হ্যাঁ, অচিরেই তোমাদেরকে শক্তি এবং আদর্শের পরাজয় হবে ৷ তোমাদেরকে তারাই পরাজিত করবে যারা সর্বদায় দ্বীনের উপর অটল থাকে, তারাই একদিন তোমাদের বিনোদন নামক বেহায়পানা ও অশ্লীলতাকে ময়লা আবর্জনার ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করবে, তাদের নিজেদের উত্তম আদর্শ এবং সঠিক নিয়ত  ও ইসলামী আক্বীদার মাধ্যমে ৷ অচিরেই তোমাদের অশ্লীলতার মঞ্চেকে কুরআনের ধারকবাহকগণ আদর্শের যুদ্ধের মাধ্যমে পরাজিত করবে ৷


 অচিরেই তোমাদেরকে পরাজিত করবে ঐ আল্লাহুআকবার ধ্বনীর আওয়াজ যা দিবারাত্রি পাঁচ বার কানে ভেসে আসে, এবং আমাদের অন্তরে এই পবিত্র আওয়াজের বাতাস প্রবাহিত হয়, ও চক্ষু শীতল হয় ৷ এরপর আরোও বলেছেন তবে ইন্টারনেটে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার কারণ হিসাবে এতটুকু ভাষনেই উল্লেখ করা হয়েছে ৷


 দুআ করি, আল্লাহ শাইখকে যে কোন বিপদের হাত থেকে হিফাযত করুন, আমীন।

ফারুকী হত্যা: কয়েকজনের নাম পেয়েছে সিআইডি

টেলিভিশনে ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নূরুল ইসলাম ফারুকী খুনের চার বছর পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত কয়েকজনের নাম পাওয়ার কথা জানিয়েছে সিআইডি।

গ্রেপ্তার এক জঙ্গির আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তাদের নাম জানা গেছে বলে জানিয়েছে মামলাটির বর্তমান তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি।


হাদিসুর রহমান সাগর নামে ওই ব্যক্তির জবানবন্দির ভিত্তিতে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলছেন, ইসলাম সম্পর্কে ব্যাখ্যা নিয়ে বিরোধ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় জঙ্গিরা।


২০১৪ সালের ২৭ অগাস্ট ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারের ভাড়া বাড়ির দোতলায় মাওলানা ফারুকীকে গলা কেটে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত।


ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুকী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতেরও কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন।


এ মামলার তদন্তভার প্রথমে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে থাকলেও পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দায়িত্ব পায়।



নুরুল ইসলাম ফারুকী (ফাইল ছবি)


মোল্যা নজরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর দায়িত্ব নেওয়ার পর তদন্তে সাগরসহ বেশ কয়েকজনের নাম পান তারা। পরে খোঁজ নিয়ে জানেন, সাগর অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

“তখন আমরা ফারুকী হত্যা মামলায় তাকে অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ডে আনার পর জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য দেয়।”


এরপর গত ৩০মে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সাগর। ফারুকী হত্যামামলায় এখন পর্যন্ত সাগরই একমাত্র গ্রেপ্তারকৃত আসামি বলে সিআইডি জানায়।


মোল্যা নজরুল বলেন, “হত্যাকারীরা মনে করছিল,  ফারুকী বিভিন্ন মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহ সম্পর্কে ভুল ব্যাখা দিতেন। তাছাড়া আল্লাহ এবং হাদিস সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য দিতেন, যা কোনোভাবেই কোরান-হাদিস সমর্থন করে না বলে তাদের মত।


“এজন্য জঙ্গি সংগঠন জেএমবি তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। এ কারণে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় বলে সাগর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছে।”



সাগরের দাবি, হত্যাকাণ্ডের সময় ফারুকীর বাসার নিচে ছিলেন তিনি। জেএমবির অন্য সদস্যরা বাসার ভেতর ঢুকে হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

মোল্যা নজরুল বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে ১০ থেকে ১২ জন জড়িত ছিল বলে সাগর জানালেও সাতজনের নাম জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে। তার মধ্যে ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া জামাই ফারুকও রয়েছেন।


সাগরের স্বীকারোক্তি উদ্ধৃত করে মোল্যা নজরুল বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগের দিন জেএমবির একটি বৈঠক টঙ্গীর আবদুল্লাহপুর এলাকায় হয়েছিল। সেখানে একজন সাগরকে পরদিনের ‘একটি অভিযানের জন্য’ প্রস্তুত থাকতে বলেছিল।


সিআইডি কর্মকর্তাদের ধারণা, সাগর জেএমবির বড় নেতাই ছিলেন। রাজশাহী অঞ্চলের দায়িত্ব ছিল তার।


মোল্যা নজরুল জানান, “যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।”


 পত্রিকা লিংক 

Sunday, August 26, 2018

শতাব্দির মহান সংস্কারক গাউসে জমান, মুর্শিদে বরহক্ব, হযরতুলহাজ্ব, আল্লামা, হাফেজ, ক্বারী, সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রহঃ)'র কৃতিত্বঃ

শতাব্দির মহান সংস্কারক গাউসে জমান, মুর্শিদে বরহক্ব, হযরতুলহাজ্ব, আল্লামা, হাফেজ, ক্বারী, সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রহঃ)'র  কৃতিত্বঃ

১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক  ১৩৪০ হিজরির দিকে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশস্থ হাজারা জেলার দরবারে আলীয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরীফে কুতুবুল আউলিয়া আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহঃ)'পlর ঘরে এই মহান সাধক জন্মগ্রহণ  করেন। শুধু  তাঁর পিতা সিরিকোটি (রহ.) নন, বরং তাঁর আম্মাজান সৈয়্যদা খাতুন (রহ.)ও একজন সাহেবে কাশ্ফ অলিআল্লাহ্ হিসেবে সমগ্র সিরিকোট অঞ্চলে মশহুর ছিলেন। আব্বা-আম্মা উভয় দিক থেকেই তিনি ইমাম হোসাইন (রা.)’র বংশ ধারায় বিখ্যাত মাশওয়ানী’ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।


#১৯৪২ সালে হযরত সিরিকোটি (রহঃ)'র সাথে সর্বপ্রথম চট্টগ্রামে শুভাগমন করেন এবং মাতৃগর্ভের ওলী যুবক তৈয়্যব শাহ (রহঃ) আন্দরকিল্লাহ শাহী জামে মসজিতে তারাবীহ নামাযে ইমামতি করেন।


#১৯৫৮ সালে চট্টগ্রামের রেয়াজুদ্দিন বাজার শেখ সৈয়্যদ ক্লথ স্টোরে চলমান খতমে গাউসিয়া মাহফিলে তাঁকে আব্বা হুযূর কর্তৃক জনসম্মুখে খেলাফত দেয়া হয় এবং আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া’র সংবিধান সংশোধনী কমিটিতে তাঁকে প্রধান করে এ বছরই তাঁকে আনজুমান’র জিম্মাদারীতে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষিক্ত করা হয়।


#১৯৬৮ সনে ঢাকার মুহাম্মদপুরে প্রতিষ্ঠা করেন, ‘কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া আলীয়া মাদ্রাসা। এটি আজ রাজধানীতে সূফিবাদী সুন্নি মুসলমানদের একমাত্র অবলম্বন। 


#১৯৭৪ সালে তিনি এক ঐতিহাসিক নির্দেশ প্রদান করেন যে, পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবীর ﷺ উদযাপনের।  পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বিরোধী ষড়যন্ত্র যখন এদেশের সুন্নিয়তের ভবিষ্যতকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল- তখন এর আবেদনকে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে পৌছিয়ে দিয়ে ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব হিসেবে -‘জশ্নে জুলুছ’ ছিল এক যুগান্তকারী প্রদেক্ষেপ।


#১৯৭৫ সনে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন হালিশহর তৈয়্যবিয়া (ডিগ্রী) মাদ্রাসা ও মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া হাফেজিয়া,  কালুরঘাট, চট্টগ্রাম।


#১৯৭৫ সনে পাকিস্তান, করাচীর আওরঙ্গী টাউনেও প্রতিষ্ঠা করেন, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া করাচী।


#১৯৭৬ সনে চন্দ্রঘোনা তৈয়্যবিয়া অদুদিয়া (ডিগ্রী) মাদরাসা, গাউসিয়া তৈয়্যবিয়া কুমিল্লা, চৌদ্দগ্রাম, মাদরাসা-এ মুহাম্মদিয়া তৈয়্যবিয়া, ফরিদগঞ্জ , মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া সুন্নিয়া, ভৈরব, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া সসুন্নিয়া, মমাদার্শা, হাটহাজারী, চন্দনাইশ এলাহাবাদ আহমদিয়া সুন্নিয়া  ফাজিল মাদরাসাসহ বাংলাদেশ, বার্মা, পাকিস্তান বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও পৃষ্টপোষক করেন যা তাঁর ‘সাচ্চা আলেম’ তৈরীর আন্দোলনের মহাসড়কে মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।


#১৯৭৬ এর ১৬ ডিসেম্বর তারিখে তিনি বাংলা ভাষায় সুন্নিয়াত ভিত্তিক সাহিত্য প্রকাশনার উপর গুরুত্বারোপ করে মাসিক ‘তরজুমান এ আহলে সুন্নাত’ প্রকাশের নির্দেশ দেন এবং জানুয়ারি ১৯৭৭ থেকে আনজুমান থেকে এ প্রকাশনার যাত্রা শুরু হয় এবং পরবর্তীতে নিবন্ধন লাভের পর অদ্যাবধি সুন্নিয়তের শীর্ষস্থানীয় মাসিক প্রকাশনার ক্ষেত্রে এখনো প্রধান এবং প্রাচীনতম এই মাসিক তরজুমান।


#১৯৭৯ সালে হুজূর ক্বিবলা ২২ জন পীরভাইসহ যিয়ারতের উদ্দেশে গাউসে পাক হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রাঃ)'র দরবারে উপস্থিত হন। সেখানে অবস্থানকালে একদিন রাত প্রায় ১২টার পর হুজুর ক্বিবলা আকস্মিকভাবে আনজুমানের সাবেক জেনারেল সেক্রেটারি আলহাজ্ব মুহাম্মদ জাকারিয়া সাহেবকে ডেকে বললেন- মাওলানা জালালুদ্দীনকো বুলাইয়ে। তিনি অধ্যক্ষকে নিয়ে হুজূর ক্বিবলার সামনে উপস্থিত হলে হুজূর কেবলা (রহঃ) সকলের উপস্থিতিতে এরশাদ করলেন-

“আভী আভী হুজূর গাউসে পাক শাহেনশাহে বাগদাদ (রঃ) কি তরফ্ছে অর্ডার হুয়া হ্যায় আলমগীর খানক্বাহ্ শরীফ বানানা হ্যায়, আউর মাজমুয়ায়ে ছালাওয়াতে রাসূল ﷺ ছাপওয়ানা হ্যায়, আউর ইয়ে বাত ভা-য়ূঁকো ছমঝা দিজিয়ে’।

অর্থাৎ: এ মাত্র হুজুর গাউছে পাক শাহেনশাহে বাগদাদ (রঃ)'র পক্ষ থেকে নির্দেশ এসেছে আলমগীর খানক্বাহ্ শরীফ তৈরি করতে হবে এবং মাজমুয়ায়ে ছালাওয়াতে রাসূল ﷺ ছাপাতে হবে; আর এ নির্দেশ ভাইদেরকে বুঝিয়ে দিন। তখন হুজূর কেবলা (রঃ)'র নির্দেশে বিষয়টি অধ্যক্ষ সাহেব ভাইদেরকে বুঝিয়ে দিলেন এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জামেয়ার পাশে নির্মাণ করা হয় আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া।  যা আজ ত্বরিকতপন্থীদের প্রশান্তির স্থান আর আউলিয়ায়ে কেরামগণের আড্ডা খানায় পরিণত হয়েছে। আর হুজুর কেবলার জীবদ্দশায় বিরল তাৎপর্যপূর্ণ ৩০ পারা বিশিষ্ট দরূদ গ্রন্থ মাজমুয়ায়ে ছালাওয়াতে রাসূল ﷺ এর  ২২ পারা পর্যন্ত উর্দু অনুবাদ নিজ তত্ত্বাবধানেই সম্পন্ন করেন- যা পরবর্তীতে বর্তমান হুজুর কিবলা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ মাদ্দাজিল্লুহুল আলী কর্তৃক ৩০ পারা পর্যন্ত সম্পন্ন হয়ে বর্তমানে বঙ্গানুবাদসহ প্রকাশিত হচ্ছে।


#১৯৮৬ সালে ত্বরিকতের ভিত্তিকে মজবুত ও সুন্নিয়তের প্রচার প্রসারকে শক্তিশালী করার লক্ষে গাউসে পাকের নামানুসারে আনজুমানের সহযোগী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ। বর্তমানে এই সংগঠনেরর ঝান্ডা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ব্রাজিল, আরব-আমিরাতসহ পৃথিবীর প্রায় অর্দশতাধিক দেশে উড়ছে আর বাংলাদেশে ত্বরিকত ভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ।


#১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জুন মোতাবেক ১৫ জিলহজ্ব ১৪১৩ হিজরি সোমবার সকালে দরবারে আলীয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরীফে মুর্শিদে বরহক, গাউসে জামান, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.) ইন্তেকাল করেন। তাঁকে সেখানেই দাফন করা হয় পরদিন মঙ্গলবার। তাঁর ঐতিহাসিক জানাজায় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী গওহর আইয়ুবসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী বিশেষতঃ খ্যাতনামা ওলামা-মাশায়েখগণ।


#আগামীকাল সোমবার ১৫ যিলহজ্ব জামেয়ার ময়দানে এই মহান দ্বীনি সংস্কারকের পবিত্র ওরস মোবারকে উপস্থিত হয়ে আল্লাহ তাআলা যেন সবাইকে  ওনার ফয়ুজাত হাসিল করার তাওফিক দান করেন।


#আমিন.....

এক নজরে বানিয়ে জশনে জুলুছ, অাল্লামা সৈয়দ তৈয়্যব শাহ (রাহঃ)।


১৩৩৬---১৪১৩ হিজরী । 

১৯১৬---১৯৯৩ ইংরেজী । 

"হায়াতে তৈয়্যবা"--- ৭৭ বৎসর। 


♦ নামঃ  হযরত  সৈয়দ  মুহাম্মদ  তৈয়্যব  শাহ

                  রাহমাতুল্লাহি  তা'আলা  আলাইহি।


♦ পিতাঃ  হযরত  সৈয়দ  অাহমদ  শাহ  সিরিকোটি

                     ।  রাহমাতুল্লাহি  তা'আলা  আলাইহি ।


♦ মাতাঃ  হযরত  সৈয়দা  খাতুন  (রাহঃ)  । 

                             প্রকাশঃ   মায়ি  সাহেবা । 


♦ জন্মস্থানঃ  দরবারে  অালিয়া  কাদেরিয়া ।

                                       সিরিকোট  শরীফ । 

                                            হাজারা  জেলা ।  

                       উত্তর  পশ্চিম  সীমান্ত  প্রদেশ। 

                                                    পাকিস্তান । 


♦         জন্মসালঃ  ১৯১৬  সাল ।

       মোতাবেক  ১৩৩৬  হিজরী । 


♦ হযরত  রাসুল  করীম  সাল্লাল্লাহু  তা'আলা 

      আলাইহি  ওয়াসাল্লাম  এঁর  ৪০  তম বংশধর।  


♦ পূর্বপুরুষঃ >>> সিরিকোট  শরীফ  >>> 

      অাফগানিস্তান  >>>  বাগদাদ  শরীফ  >>> 

      মদিনা শরীফ >>> মক্কা শরীফ। 


♦  শাহান  শাহে  সিরিকোটের  প্রতি হযরত

       চৌহরভী'র  ঘোষণা  "ইয়ে  পাক  চীজ  তুমনে

       লে  লো"  হলেন  তিনি । 


♦  শিশু  বয়সে  দুধ  পান না  করার যে নির্দেশ 

       হযরত  চৌহরভী  দিয়েছেন,  তা  পালন করেন । 


♦ স্বীয়  পিতার  ন্যায়  মাত্র  চার  বছর  বয়সে 

             ।  নামাজে  অাল্লাহ কে  দেখতে  চান । 


♦ ১৯২৪  সালে  মাত্র  অাট  বছর  বয়সে  তাঁর 

      পিতার  সাথে  অাজমীর  শরীফ জিয়ারতে

      গেলে  সেখানে  হযরত  খাজা  গরীবে  

       নেওয়াজের  সাথে  সরাসরি  মোলাকাত  

      ও  কথোপকথন  হয়  ।


♦ ১৯২৭  সালে  মাত্র  ১১ (মতান্তরে  ৮)  বছর 

     বয়সে  হেফজ  শেষ  করেন ।


♦ প্রাতিষ্ঠানিক  শিক্ষা  শুরু  হয়  হরিপুর  দারুল 

      উলুম  ইসলামুয়া  রহমানিয়া মাদরাসা  থেকে । 


♦ উল্লেখ  যোগ্য  শিক্ষক  মহোদয়,

     হাফেজ   অাল্লামা  অাবদুর  রহমান  (রাহঃ) 

     হাফেজ  মাওলানা  অাবদুল  হামিদ  (রাহঃ) 


♦ ১৯৪৩  সালে  তিনি  শিক্ষার  সর্বশেষ  সনদ

      অর্জন  করেন । 


♦ সহধর্মিণী হলেন, হযরত  সৈয়দা  সাঈদা  বেগম ।


♦  দুই  পুত্র  সন্তান,  এক  কন্যা । তাঁরা  হলেন,

       হযরত  সৈয়দ  মুহাম্মদ  তাহের  শাহ  (মঃ)

       হযরত  সৈয়দ  মুহাম্মদ  সাবের  শাহ  (মঃ) 

       হযরত  সৈয়দা  খদিজা  বেগম । 


♦ তাঁর  পীর  সাহেব  কেবলা  হলেন, 

     হযরত  সৈয়দ  অাহমদ  শাহ সিরিকোটি  (রাহঃ)।


♦ তিনি  ছিলেন,  সুন্নি  কাদেরী  হানাফি  । 


♦ ১৯৪২  সালে  সর্বপ্রথম  চট্টগ্রাম  অাগমন । 


♦  ১৯৫৬  সালে  তাঁর  অাম্মাজানকে  সাথে 

                            নিয়ে  হজ্ব  পালন  করেন । 


♦ ১৯৫৮  সালে  ৪২  বছর  বয়সে   স্বীয়  পীর  মুর্শিদ 

      অাব্বাজান  তাঁকে  "সিলসিলায়ে  অালিয়া

      কাদেরিয়া"-র  প্রধান  খলিফা  মনোনীত  করেন ।


♦ ১৯৬১  সালে  ১ শাওয়াল  ১৩৮০  হিজরীতে

     প্রথম বারের  মতো  স্বীয়  পিতার  উপস্থিতিতে 

     ঈদের  নামাজের  ইমামের  দায়িত্ব  পালন  করেন


♦ ১৯৬১ সালে পীর হিসেবে প্রথম চট্টগ্রাম  অাগমন ।


♦ ১৯৬১-১৯৭০ সাল পর্যন্ত নিয়মিত চট্টগ্রাম অাগমন।


♦ ১৯৬৮  সালে  ঢাকার  মুহাম্মদপুরে  "কাদেরিয়া

     তৈয়্যবিয়া  কামিল  মাদরাসা"  প্রতিষ্ঠা  করেন ।


♦ ১৯৭৪  সালে  দরবারে  সিরিকোট  শরীফ  থেকে

      চট্টগ্রাম   অাঞ্জুমানকে  নির্দেশ  দেন "পবিত্র  

      জশনে  জুলুছ" অায়োজন  করতে । 


♦ ১৯৭৬---১৯৮৬  সাল পর্যন্ত  ধারাবাহী  চট্টগ্রাম 

      অাগমন । 


♦ ১৯৭৬  সালে  প্রথম  অাসেন,  স্বাধীন  বাংলাদেশে 

♦ ১৯৭৪  সালে  প্রবর্তন  করেন  "১২  রবিউল 

      অাউয়াল  পবিত্র  জশনে  জুলুছে  ঈদে  মিলাদুন্নবী

      সাল্লাল্লাহু  তা'আলা  আলাইহি  ওয়াসাল্লাম ।


♦ ১৯৭৫  সালে  প্রতিষ্ঠা  করেন,

     "ইসলামিয়া  তৈয়্যবিয়া  সুন্নিয়া  মাদরাসা"

      হালিশহর,  চট্টগ্রাম । 


♦ ১৯৭৫। সালে  প্রতিষ্ঠা  করেন, 

     "মাদরাসায়ে-এ  তৈয়্যবিয়া  হাফেজিয়া" 

     কালুরঘাট,   চট্টগ্রাম । 


♦ ১৯৭৫  সালে  প্রতিষ্ঠা  করেন,

     "মাদরাসা-এ  তৈয়্যবিয়া  করাচী"

      অাওরঙ্গী  টাউন,  পাকিস্তান । 


♦ ১৯৭৬  সালে  চন্দ্রঘোনা  "তৈয়্যবিয়া  অদুদিয়া 

                   সুন্নিয়া  ফাজিল  মাদরাসা"  প্রতিষ্ঠা । 


♦ ১৯৭৬  সালে  খেলাফত  দান  করেন, 

                     তাঁর  দুই  সাহেবজাদাকে । 


♦ ১৯৭৬  সালে  তিনি  নিজে   প্রথম  

          জশনে  জুলুছের  নেতৃত্ব  দান । 


 ♦ ১৯৭৮  সালে  অাহলে  সুন্নাত  ওয়াল জামাতের

      মুখপত্র  "তরজুমান-এ  অাহলে  সুন্নাত"  প্রতিষ্ঠা ।


♦  ১৯৭৯  সালে  পুত্র  হযরত  সাবের  শাহকে  নিয়ে

      হজ্ব  পালন  করেন । 


♦ ১৯৭৯  সালে  বাগদাদ শরীফ  জিয়ারতে  যান 

     ২২  জনের  একটি  কাফেলার  রাহবার  হয়ে ।


♦ ১৯৭৯  সালে জিয়ারতের  সময়  রাত  ১২টায়

     গাউসে  পাক  থেকে  নির্দেশ  পাই 

                         "অালমগীর  খানকা"  প্রতিষ্ঠার । 


♦ ১৯৮২  সালে  ৫০০০  কপি  প্রকাশ  করেন,

            "মাজমুয়ায়ে  সালাওয়াতে  রাসুল"  

     সাল্লাল্লাহু  তা'আলা  আলাইহি  ওয়াসাল্লাম ।


♦ ১৯৮২  সালের  ২১  জানুয়ারি  চট্টগ্রাম  "মুসলিম

     ইন্সটিটিউট  হল"-এ  বাংলাদেশ  ইসলামি  ছাত্র 

     সেনা  কে  উদ্দেশ্য  করে বলেছিলেন,  "ইয়ে 

     হামারী  ঈমানী  ফৌজ  হ্যায় । ইয়ে 

     অাউলিয়ায়ে  কেরাম  কী  ফৌজ  হ্যায়" । 


♦ ১৯৮৫  সালে  বার্মা  সফর  করেন । সে  সময়ে

     ঐখানকার  অসংখ্য  লোক  তাঁর  হাতে  বায়াত

     গ্রহণ  করে  ধন্য  হন।।


♦ ১৯৮৫  সালে  বার্মার  অধিবাসী  ইসমাইল 

      মুহাম্মদ  দাউদজী  বাগিয়া  সাহেবকে  খেলাফত

       প্রদান  করেন । 


♦ বার্মার  রেঙ্গুনে  প্রতিষ্ঠা  করেন,

     "মাদরাসা-এ  অাহলে  সুন্নাত"


♦ ১৯৮৬  সালে  তাঁর  নেতৃত্বে  সর্বশেষ 

                          পবিত্র   জশনে  জুলুছ । 


♦ ১৯৮৬  সালে  এই  দেশে  সর্বশেষ  সফর ।


♦ ১৯৮৬ প্রতিষ্ঠা  করেন,

     "গাউসিয়া  কমিটি  বাংলাদেশ" ।


♦ পাকিস্তানে  প্রতিষ্ঠা  করেন,

      "মজলিশ-এ  গাউসিয়া  সিরিকোটিয়া" । 


♦ ১৯৮৬  প্রতিষ্ঠা  করেন,  "অানওয়ারে  মোস্তফা"

      যা  উর্দু  ভাষায়  মজলিশে  গাউসিয়া 

      সিরিকোটিয়  কর্তৃক  প্রকাশিত । 


♦ ১৯৮৬---১৯৯৩  সাল  পর্যন্ত  চিঠিপত্রের  মারফতে 

      সিরিকোট  শরীফ  থেকে  দেশ  বিদেশের  সকল

      অনুগামীদের  সাথে  যোগাযোগ  রেখে  সুন্নিয়তের

      কাজের  গতি  অব্যাহত  রাখেন । 


♦ ১৯৮৮  সালে  সকল  সুন্নি  ওলামা  মাশায়েখকে

     ঐক্যবদ্ধ  করার  জন্য  জামেয়ার  ময়দানে

     "ওলামা  মাশায়েখ  সম্মেলন  অায়োজন  করেন । 


♦ ১৯৯৩  সালের  ৭  জুন  মোতাবেক 

      ১৪১৩  হিজরী  ১৫  জিলহজ্ব  রোজ  

          সোমবার  রাত  ৯টায়  ওফাত  হন । 


♦ পর দিন  অর্থাৎ  ১৯৯৩  সালের  ৮  জুন  তাঁকে 

      তাঁর  পিতার  শাহান  শাহে  সিরিকোটের  

      মাজার  শরীফের  একই গম্বুজের  নিচে 

       দরবারে  সিরিকোট  শরীফ  দাফন  করা  হয় । 


♦ প্রতি  বছর  ১৫  জিলহজ্ব  দরবারে  সিরিকোট

      শরীফ, চট্টগ্রাম  জামেয়া  ময়দান  এবং  ঢাকা  সহ

       দেশে  বিদেশে  অগণিত  জায়গায়  তাঁর  ওরস

       মোবারক  পালন  করা  হয় ।


♦ তাঁর  ফয়েজাতের  নহর  যেন  সর্বদা  অামাদের

      জীবনে  প্রবাহমান  থাকে, 

     মহান  অাল্লাহর  কাছে  সে  প্রার্থনা ।

      হে  করুণাময়  অাল্লাহ !  কবুল  করুন---। 

বাংলাদেশের ৩৬০ জন আউলিয়া কেরামের পবিত্র নামসমূহ ৷

বাংলাদেশের ৩৬০ আউলিয়াদের পবিত্র নাম মোবারক :

০১৷  হযরত শাহ জালাল ইয়ামনী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


০২। হযরত শাহ্ পরান রহমতুল্লাহি আলাইহি।


০৩। হযরত শাহ্ জাদ আলী ইয়ামনী (১ম)রহমতুল্লাহি আলাইহি।


০৪। হযরত আলী ইয়ামনী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


০৫। হযরত আরিফ ইয়ামানী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


০৬। হযরত কামাল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


০৭। হযরত মুহম্মদ আইয়ুব ইয়ামানী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


০৮। হযরত শাহ্ তাজ উদ্দিন কোরেশী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


০৯। হযরত শাহ্ হেলিম উদ্দিন কোরেশী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১০। হযরত শাহ দাউদ কোরেশী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১১। হযরত চাশনী পীর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১২। হযরত যাকারিয়া আরবী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৩। হযরত জৈন উদ্দিন আব্বাসী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৪। হযরত নিজাম উদ্দিন বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৫। হযরত খাজা অজীহ উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৬। হযরত খাজা আজিজ চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৭। হযরত আমীর উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৮। হযরত খাজা আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৯। হযরত খাজা আদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২০। হযরত খাজা আদিনা রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২১। হযরত খাজা ইসা রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২২। হযরত খাজা ইকবাল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৩। হযরত খাজা ইখতিয়ার রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৪। হযরত খাজা উমর চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৫। হযরত খাজা তৈয়ব রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৬। হযরত খজা দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৭। হযরত খাজা নাসি উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৮। হযরত খাজা নাসির উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৯। হযরত খাজা পীর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩০। হযরত খাজা বুরহান উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩১। হযরত খাজা বাহাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩২। হযরত খাজা সেলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৩। হযরত খাজা সুফিয়ার রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৪। হযরত খাজা সিরাজ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৫। হযরত হযরত সৈয়দ আজীজ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৬। হযরত হযরত সৈয়দ আজীরান রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৭। হযরত সৈয়দ আলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৮। হযরত সৈয়দ আহমদ কবির রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৯। হযরত সৈয়দ আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৪০। হযরত সৈয়দ আহমদ (২য়)রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৪১। হযরত সৈয়দ আব্বাস রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৪২। হযরত সৈয়দ আবু রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৪৩। হযরত সৈয়দ আবু বকর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৪৪। হযরত সৈয়দ আব্দুল করীম রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৪৫। হযরত সৈয়দ আজিয়াল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৪৬। হযরত সৈয়দ ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৪৭। হযরত সৈয়দ ইয়াকুব রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৪৮। হযরত সৈয়দ ইসা রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৪৯। হযরত সৈয়দ উমর সমরকন্দি রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৫০। হযরত সৈয়দ ওসমান রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৫১। হযরত সৈয়দ কবীর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৫২। হযরত সৈয়দ কুতুব উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৫৩। হযরত সৈয়দ কাসিম রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৫৪। হযরত সৈয়দ খলিল উল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৫৫। হযরত সৈয়দ জাহান রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৫৬। হযরত সৈয়দ জওয়াহীর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৫৭। হযরত সৈয়দ জলীল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৫৮। হযরত সৈয়দ জমিল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৫৯। হযরত সৈয়দ জাহাঙ্গীর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৬০। হযরত সৈয়দ তাজ উদ্দিন শাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৬১। হযরত সৈয়দ দৌলত রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৬২। হযরত সৈয়দ দৌলত রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৬৩। হযরত সৈয়দ নাসির রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৬৪। হযরত সৈয়দ নসর উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৬৫। হযরত সৈয়দ ফখরুদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৬৬। হযরত সৈয়দ ফরিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৬৭। হযরত সৈয়দ বদর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৬৮। হযরত সৈয়দ বদরুদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৬৯। হযরত সৈয়দ বাহাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৭০। হযরত সৈয়দ বাজ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৭১। হযরত সৈয়দ বায়োজিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৭২। হযরত সৈয়দবুজুগ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৭৩। হযরত সৈয়দ মুনইম রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৭৪। হযরত সৈয়দ মোখতার রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৭৫। হযরত সৈয়দ মুহব্বত রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৭৬। হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৭৭। হযরত সৈয়দ মুহম্মদ গজনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৭৮। হযরত সৈয়দ মুহামদ জান রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৭৯। হযরত সৈয়দ রওশন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৮০। হযরত সৈয়দ রুকুনুদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৮১। হযরত সৈয়দ সয়েফ উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৮২। হযরত সৈয়দ সিকান্দার রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৮৩। হযরত সৈয়দ সিকান্দার (২য়)রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৮৪। হযরত সৈয়দ লাল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৮৫। হযরত সৈয়দ হামাজা রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৮৬। হযরত কাজী আমি ইদ্দন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৮৭। হযরত কাজী আলীম উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৮৮। হযরত কাজী জালাল উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৮৯। হযরত কাজী ওমর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৯০। হযরত কাজী জাহান রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৯১। হযরত কাজী তাজউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৯২। হযরত কাজী ফয়জুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৯৩। হযরত কাজী ফৈয়াজ উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৯৪। হযরত কাজী ফিরোজ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৯৫। হযরত কাজী ফকীর উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৯৬। হযরত গাজী মুলক রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৯৭। হযরত কাজী জয়েব রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৯৮। হযরত হাজী গাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৯৯। হযরত হাজী ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১০০। হযরত হাজী আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১০১। হযরত হাজী আহমদ (২য়)রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১০২। হযরত হাজী খলীল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১০৩। হযরত হাজী কিজির রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১০৪। হযরত হাজী মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১০৫। হযরত হাজী মুহম্মদ জাকারিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১০৬। হযরত হাজী সমশেদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১০৭। হযরত হাজী মুহম্মদ দরিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১০৮। হযরত হাজী মুহম্মদ শরীফ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১০৯। হযরত হাজী লতিফ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১১০। হযরত হাজী ওমর চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১১১। হযরত হাজী কাশেম রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১১২। হযরত হাজী গয়লা রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১১৩। হযরত শাহ চাঁদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১১৪। হযরত শাহ চট রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১১৫। হযরত শাহ কামাল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১১৬। হযরত শাহ নূর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১১৭। হযরত শাহ কালু রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১১৮। হযরত মদন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১১৯। হযরত শাহ ফরাঙ্গ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১২০। হযরত শাহ মালুম রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১২১। হযরত শাহ রফীউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১২২। হযরত শাহ শমস উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১২৩। হযরত শাহ সনজর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১২৪। হযরত শাহ সদর উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১২৫। হযরত শাহ সিকান্দার রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১২৬। হযরত শাহসোনদার রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১২৭। হযরত শাহ বাজ আনসারী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১২৮। হযরত আরেফীন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১২৯। হযরত শাহ বদর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৩০। হযরত শাহ মাহমুদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৩১। হযরত শাহ সুলতান রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৩২। হযরত শাহ সাইদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৩৩। হযরত শাহ বাগদাদ আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৩৪। হযরত শাহ দুধ মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৩৫। হযরত শাহ জামাল উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৩৬। হযরত শাহ পাতা রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৩৭। হযরত শেখ জামাল উল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৩৮। হযরত শেখ আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৩৯। হযরত সৈয়দ হোসেন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৪০। হযরত সৈয়দ আমীল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৪১। হযরত শেখ আসগর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৪২। হযরত শেখ আব্দুল ফজর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৪৩। হযরত শেখ আব্দুল আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৪৫। হযরত শেখ আব্দুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৪৬। হযরত শেখ ইলিয়াস রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৪৭। হযরত শেখ ইসা রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৪৮। হযরত শেখ ওমর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৪৯। হযরত শেখখাজা ওমর জাহান রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৫০। হযরত শেখ ওসমান রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৫১। হযরত শেখ কুতুব উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৫২। হযরত শেখ কালু রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৫৩। হযরত শেখ খিজির খাসদবীর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৫৪। হযরত শেখ খিজির রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৫৫। হযরত শেখ গরীব রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৫৬। হযরত শেখ জকাই রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৫৭। হযরত শেখ জামাল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৫৮। হযরত শেখ জামিল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৫৯। হযরত শেখ জিয়া উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৬০। হযরত শেখ তাহির রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৬১। হযরত শেখ নসরত রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৬২। হযরত শেখ নিয়ামত উল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৬৩। হযরত শেখ মুসা রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৬৪। হযরত শেখ মুহম্মদ কিবারী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৬৫। হযরত শেখ মুহম্মদ কমর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৬৬। হযরত শেখমুহম্মদ দানা রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৬৭। হযরত শেখ শমস রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৬৮। হযরত শেখ সফর উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৬৯। হযরত শেখ সাহদা রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৭০। হযরত শেখ সাবু রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৭১। হযরত শেখ সলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৭২। হযরত শেখ সলেহ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৭৩। হযরত শেখ সিরাজ উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৭৪। হযরত শেখ সদর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৭৫। হযরত শেখ হেলিম উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৭৬। হযরত শেখ হোসেন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৭৭। হযরত শেখ হোসেন (২য়)রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৭৮। হযরত আজিজ চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৭৯। হযরত হাফেজ আতা উল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৮০। হযরত ইমাম শুকুর উল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৮১। হযরত মুজাফফর বিহারী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৮২। হযরত মুহম্মদ বিহারী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৮৩। হযরত হেলিম উদ্দিন বিহারী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৮৪। হযরত হাসান উদ্দিন বিহারী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৮৫। হযরত আদম বাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৮৬। হযরত আজিজ আশকারী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৮৭। হযরত আরিফ মুলতানী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৮৮। হযরত আলাউদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৮৯। হযরত আহমদ আব্বাসী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৯০। হযরত আহমদ নিশান রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৯১। হযরত আবু তোরাব রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৯২। হযরত আবুল হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৯৩। হযরতআবুল খায়ের রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৯৪। হযরত আবুল আরিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৯৫। হযরত আবু বকর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৯৬। হযরত আব্দুল আজিজ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৯৭। হযরত আব্দুল জলিল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৯৮। হযরত আব্দুল মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৯৯। হযরত আব্দুল শুকুর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২০০। হযরত আব্দুল হেলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২০১। হযরত আব্দুর রহিম রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২০২। হযরত আব্দুল মালী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২০৩। হযরত আব্দুল আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২০৪। হযরত মুহম্মদ আনসারী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২০৫। হযরত আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২০৬। হযরত মুহ্মদ আশিক রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২০৭। হযরত মুহম্মদ মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২০৮। হযরত মুহম্মদ ইয়াসিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২০৯। হযরত মুহম্মদ শহীয়াল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২১০। হযরত মুহম্মদ সালেহ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২১১। হযরত মুহম্মদ সেলাদার রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২১২। হযরত মুহম্মদ জানেদী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২১৩। হযরত মুহম্মদ তকী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২১৪। হযরত মুহম্মদ নূর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২১৫। হযরত মুহম্মদ লতীফ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২১৬। হযরত মুহম্মদ সাহাবানী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২১৭। হযরত মুহম্মদ হাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২১৮। হযরত মুহম্মদ সিকন্দর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২১৯। হযরত মুহম্মদ শাহ বাল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২২০। হযরত শুজা রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২২১। হযরত মুহম্মদ নকী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২২২। হযরত মুহম্মদ কাবেরী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২২৩। হযরত মুহম্মদ দরিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২২৪। হযরত মুহম্মদ মিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২২৫। হযরত মুহম্মদ সৈয়দ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২২৬। হযরত মাওলানা কিয়াম উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২২৭। হযরত মখদুম হাবীব রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২২৮। হযরত মখদুম রহিম উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২২৯। হযরত মখদুম নিজাম উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৩০। হযরত মখদুম জাফর গজনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৩১। হযরত মসদুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৩২। হযরত মসউদ মূলক রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৩৩। হযরত মহী উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৩৪। হযরত মহীব আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৩৫। হযরত মওদ্দোদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৩৬। হযরত মারুফ সেলাদার রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৩৭। হযরত বুরহান উদ্দিন বুরহান রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৩৮। হযরত বুরহান উদ্দিন আহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৩৯। হযরত বুরহান উদ্দিন কাত্তাল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৪০। হযরত বদর মূলক রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৪১। হযরত দায়দ মুলক রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৪২। হযরত তাজমুলক রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৪৩। হযরত জয়েদ উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৪৪। হযরত জয়েদ উদ্দিন আব্বাসী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৪৫। হযরত জিয়া উদ্দিন মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৪৬। হযরত জিয়া উল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৪৭। হযরত জিন্দা পীর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৪৮। হযরত জুনায়েত গুজরাতী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৪৯। হযরত ইসমাইল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৫০। হযরত ইশা চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৫১। হযরত ইমাম উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৫২। হযরত এতিম শাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৫৩। হযরত ক্বারী এহিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৫৪। হযরত ওসমান উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৫৫। হযরত ওসমান উদ্দিন (২য়)রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৫৬। হযরত ওমর দরিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৫৭। হযরত করীম দাদ রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৫৮। হযরত কামাল উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৫৯। হযরত কালা মিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৬০। হযরত কুতুব আলম রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৬১। হযরত কাসিম দক্ষিগী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৬২। হযরত গরীব খাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৬৩। হযরত গণি মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৬৪। হযরত গয়বী পীর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৬৫। হযরত গোলাম রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৬৬। হযরত দেলওয়ার খতীব রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৬৭। হযরত দাওর বখত খতীব রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৬৮। হযরত দাদা পীর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৬৯। হযরত দৌলত গনী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৭০। হযরত দৌলত গাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৭১। হযরত দৌরত মুনিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৭২। হযরত নূহ মূলক রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৭৩। হযরত নুরুল উল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৭৪। হযরত নরুল হুদা রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৭৫। হযরত নূর আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৭৬। হযরত নিজাম উদ্দিন কিরমানী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৭৭। হযরত নিমাজ উদ্দিন বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৭৮। হযরত পীর আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৭৯। হযরত পীল মূলক রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৮০। হযরত জিয়া উদ্দিন প্রমূখ পীর পাঞ্জাতন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৮১। হযরত জিয়া উদ্দিন প্রমূখ পীর পাঞ্জাতন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৮২। হযরত জিয়া উদ্দিন প্রমূখ পীর পাঞ্জাতন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


১৮৩। হযরত জিয়া উদ্দিন প্রমূখ পীর পাঞ্জাতন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৮৪। হযরত পর্বত গান পীর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৮৫। হযরত ফরিদ আনসারী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৮৬। হযরত ফরিদ রওসন চেরাগ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৮৭। হযরত ফতেহ গাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৮৮। হযরত হযরত ফিরোজ আজবী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৮৯। হযরত ফরু জায়েদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৯০। হযরত দেওয়ান ফতেহ মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৯১। হযরত আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৯২। হযরত খান্ডা ঝকমক রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৯৩। হযরত তিব সালামী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৯৪। হযরত আবু দৌলদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৯৫। হযরত বাহার আশকারী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৯৬। হযরত রুকুনুদ্দিন আনসারী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৯৭। হযরত সুলতান শাহ সিকান্দার রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৯৮। হযরত কিকান্দার তবলিয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


২৯৯। হযরত সোনা গাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩০০। হযরত সোহাব উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩০১। হযরত সালেহ মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩০২। হযরত সিকান্দার সলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩০৩। হযরত লাল সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩০৪। হযরত উল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩০৫। হযরত হাবীব গাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩০৬। হযরত হাফেজ মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩০৭। হযরত হেলিম উদ্দিন নূরনানি রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩০৮। হযরত হামিদ ফরুকি রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩০৯। হযরত হায়দার গাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩১০। হযরত হাসেম চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩১১। হযরত মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩১২। হযরত হুয়ান উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩১৩। হযরত হিমান উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩১৪। হযরত হাসান শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩১৫। হযরত হাফেজ ফসী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩১৬। হযরতগোলাম (২য়)রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩১৭। হযরত সূফী হোসেন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩১৮। হযরত দেওয়ান খলীল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩১৯। হযরত হাজী জমশেদ খতীব রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩২০। হযরত শেখ নসর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩২১। হযরত মখদুম সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩২২। হযরত শাহ্ দেওয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩২৩। হযরত শরীফ আজমিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩২৪। হযরত লাল সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩২৫। হযরত সুফী হোসেন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩২৬। হযরত মাদু সৈয়দ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩২৭। হযরত গরম দেওয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩২৮। হযরত মোকতার সহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩২৯। সামসুদ্দিনীন বিহারী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৩০। হযরত দরিয়া পীর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৩১। হযরত সৈয়দ বুরুজ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৩২। হযরত উজরান রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৩৩। হযরত হাসামদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৩৪। হযরত হাইবুল্লাহ খতীব রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৩৫। হযরত খাজা ইউবুদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৩৬। হযরত মারুফ সিলাদার রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৩৭। হযরত মুহম্মদ সিরাদর রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৩৮। হযরত ফরিদ উদ্দিন রৌশন সিরাজ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৩৯। হযরত মাওলানা কিয়াম উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৪০। হযরত তাজ মালী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৪১। হযরত খাজা পায়ার রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৪২। হযরত শেখ বেজ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৪৩। হযরত আদম খাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৪৪। হযরত ইমাম উদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৪৫। হযরত মুহম্মদ আইয়ুব ইমাম রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৪৬। হযরত জামিল রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৪৭। হযরত হামিদ উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৪৮। হযরত জিয়া উদ্দি আহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৪৯। হযরত সয়দ আব্দুল করীম রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৫০। হযরত হযরত গনী আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৫১। হযরত তৈয়ব সেলামী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৫২। হযরত আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৫৩। হযরত শেখ শাহ ফেনি রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৫৪। হযরত হাজী শরীফ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৫৫। হযরতশাহ গিয়াস আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৫৬। হযরতমুহম্মদ নকী বাবু দৌলত রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৫৬। হযরত হাফিজ মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৫৮। হযরত শাহ বাবা মিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৫৯। হযরত বন্ধু শাহ দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি।


৩৬০। হযরত বাবা আইনুদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি।


সূত্র: হযরত বুরহান উদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনী গ্রন্থ গোলজারে আলম


লেখাঃ ক্বারী মোহাম্মদ নূর উদ্দি চিশতী ৭০ পৃষ্ঠা হইতে ৭৩ পৃষ্ঠা পযর্ন্ত।

Monday, August 20, 2018

মৃত ব্যক্তির আর্তনাদ !!!

মৃত ব্যক্তির অার্তনাদ 

__________________

রাসুল (সাঃ) বলেছেন-মৃত ব্যক্তির জন্য ঐ সময়টা খুব কষ্টকর হয়, যখন তাকে তার গৃহ হতে বের করা হয় এবং তার পরিবারের সবাই তার জন্য কাঁদতে থাকে।

এর চেয়ে বেশি কষ্ট হয় তখন, যখন তাকে কবরে শুয়ায়ে তাকে মাটি দেয়া হয়, এবং তাকে একা ফেলে সবাই চলে আসে।

আরো কষ্ট হয় যখন শরীর হতে কাপড়,অলংকার,

আংটি,খুলে নেয়া হয়। সেই সময় তার রুহ উচ্চস্বরে চিৎকার করতে থাকে, এ চিৎকার জীন ও মানুষ ছাড়া অন্য সবাই শুনতে পায়। সে তখন চিৎকার করে বলতে থাকে- তোমাদেরকে আল্লাহর কসম আমার শরীরের কাপড় চোপর, অলংকার, ধীরে ধীরে খুলো, যেহেতু এই মাত্র আমি মালাকুল মউতের কঠিন আযাব হতে নিস্কৃতি পেয়েছি।

যখন মৃত ব্যক্তির দেহ মর্দন করা হয়- তখন সে বলেতে থাকে-হে গোসল দাতাগণ, আমার দেহে জোরে মর্দন

করোনা, কেননা মালাকুল মউতের কঠিন আযাবে আমার দেহ,ক্ষত -বিক্ষত হয়ে গেছে।

যখন মৃতকে কাফন পড়ানো হয় তখন মৃত দেহ বলতে থাকে, হে কাফন দাতাগণ, আমাকে এত তাড়াতাড়ি কাফন পরাইও না, আমার স্ত্রী, সন্তান,আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদেরকে শেষ বারের মত দেখতে দাও।

তাদের সাথে ইহাই আমার শেষ দেখা। কেয়ামতের আগে আর তাদের সাথে আমার দেখা হবে না।

যখন মৃত ব্যক্তিকে তার বাড়ি থেকে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয় তখন সে বলতে থাকে হে আমার আত্মীয়-স্বজন, তোমাদেরকে আল্লাহর কসম, এত তাড়াতাড়ি আমাকে কবরস্থানে নিয়ে যেওনা, আমার বাড়ি,ঘর, স্ত্রী, কন্যা,সবার কাছ থেকে বিদায় লওয়ার

জন্য একটু সুযোগ দাও।

হে আমার আত্মীয় -স্বজন, আমি আমার স্ত্রীকে বিধবা এবং সন্তানদেরকে এতিম করে যাচ্ছি। তোমরা তাদেরকে কষ্ট দিওনা। তাদের প্রতি অবিচার করোনা। আমি এখন সবকিছু ছেড়ে চলে যাচ্ছি, আর কখনো ফিরে আসবো না। তোমরা তাড়াতাড়ি করোনা, আমাকে সবার কাছ থেকে বিদায় লওয়ার সুযোগ দাও। যখন মৃত ব্যক্তিকে-গুরস্তানের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সে বলেতে থাকে হে আমার বংশধরগণ, হে আমার আত্মীয়-স্বজন, হে আমার প্রতিবেশী, তোমরা যেন আমার

মত দুনিয়ার মায়ায় পড়ে আরাম আয়েশে আখেরাতের কথা ভুলে যেওনা।

তোমরা লক্ষ করে দেখ, আমি আল্লাহর নাফরমানি করে হালাল হারামের প্রতি লক্ষ না করে,যে ধন দৌলত কামায় করেছিলাম তার কিছুই আমার সাথে যাচ্ছে না। সব ওয়ারীশগণ বন্টন করে নিচ্ছে। আমার সাথে যাচ্ছে শুধু আমার পাপরাশি। যাদের জন্য আমি পাপ করেছিলাম তারা বিন্দুমাত্র পাপের ভাগ নিচ্ছে না।

যখন জানাজার নামাজ শেষে কিছু লোক চলে যেতে থাকে তখন মৃতব্যক্তি বলতে থাকে- হে বন্ধুগণ তোমাদের সাথে আমার কত ভালবাসা ছিল, এখন কেমন করে আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছো! দাফনের কাজ শেষ করে আমার জন্য একটু দোয়া করে যাও।

হে বন্ধুগণ-সত্যিই তোমাদের কাছে আজ আমি অপ্রিয় হয়ে গেছি। কিন্তু এমন এক সময় ছিলো তোমরা আমাকে না দেখে এক দিনও থাকতে পারতেনা।

টাকা,পয়সা, ধনসম্পদ, সব কিছু তোমাদের জন্য রেখে

যাচ্ছি, আর কোনো কিছু তোমাদের কাছে চাইবো না। শুধু একটু দোয়া করে যাও।

টাকা,পয়সা, সবকিছু আমি রেখে গেছি। ভোগ বিলাসে মক্ত হয়োনা। আমার জন্য কিছু দান-খয়রাত করিও, দোয়া কালাম পড়িও, আমার রুহের উপর বখশিশ দিও।

মনে রেখ, আমার মত তোমাদেরকেও একদিন চলে যেতে হবে।

হে আল্লাহ আমাদের সবাইকে তুমি মাফ করে দাও।

আমীন

Thursday, August 16, 2018

হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ ৷

আলহামদুলিল্লাহ!!

হাটহাজারী থানার অন্তর্গত চৌধুরী হাটের অজিত বাবুর বাড়ি নিবাসী রনি বিশ্বাস তার দুই সন্তান ও স্ত্রী সহ পরিবারের মোট চার সদস্য হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। গতকাল বাদ মাগরিব সুলতানিয়া ইসলামিক একাডেমীর সম্মানিত প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা শিহাব উদ্দিন জমীরীর কাছে পবিত্র কালেমা পড়ে পরিবারের চার সদস্যই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এসময় ওই পরিবারের প্রধান রনি বিশ্বাস তার পূর্বের নাম পরিবর্তন করে "মোহাম্মদ ইব্রাহিম" রাখেন। একই সময়ে তার পরিবারের অন্য সদস্যদের নামও পরিবর্তন করে ইসলামী নাম রাখা হয়। ছেলের নাম রাখেন মোহাম্মদ সামি পূর্ব নাম কৃষ্ণ এবং মেয়ের নাম রাখেন খাদিজা পূর্ব নাম পূঁজা। আর তার সহধর্মিণীর নাম রাখেন জান্নাতুল ফেরদৌস পূর্ব নাম রত্না মনি। মোহাম্মদ ইব্রাহিম তার সন্তানদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্যে আগামী ডিসেম্বরে মাদ্রাসায় ভর্তি করানোর আশ্বাস দেন। 


শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন।

Wednesday, August 15, 2018

মুমিন ব্যক্তির সাথে প্রধান চার (৪) জন ফেরেস্তা কিরূপ আচরন করে থাকেন!

মুমিন ব্যক্তির সাথে প্রধান চার (৪) জন ফেরেস্তা কিরূপ আচরন করে থাকেন!  


সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালিন, খ্বতামুন্নাবিয়্যিন, নূরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফের পর যখন উনাকে গোসল দেওয়া হয় তখন প্রধান ৪ (চার) জন ফেরেশতা গোসলের পানি গুলো চারটি বোতলে ভর্তি করে নেন ।


একটি বোতল হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম , একটি বোতল হযরত মিকাঈল আলাইহিস সালাম, একটি বোতল হযরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম এবং অপর একটি বোতল হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম নিয়ে গেলেন।


০১। "হযরত  আযরাঈল আলাইহিস সালাম"

মৃত্যুর সময় মুমিন ব্যক্তির মুখে ঐ বোতল থেকে এক ফোটা পানি ছিটিয়ে দেন, সাথে সাথে তার মৃত্যুর কষ্ট সহজ হয় এবং ঈমানের সাথে মৃত্যু নসিব হয় ।


০২। "হযরত মিকাঈল আলাইহিস সালাম"

কবরে মুনকার -নাকিরের সওয়ালের সময় মৃত ব্যক্তির মুখে এক ফোটা ছিটিয়ে দেন, সাথে সাথে মৃত ব্যক্তির সওয়ালের - জওয়াব দেওয়া সহজ হয়ে যায়।


০৩। "হযরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম"

কিয়ামতের দিন এক ফোটা পানি চেহরার মধ্যে ছিটিয়ে দিবেন, সাথে সাথে কিয়ামতের সমস্ত ভয়াবহতা থেকে নিরাপদ থাকবে।


০৪। "হযরত  জিবরাঈল আলাইহিস সালাম"

দিদারে এলাহির সময় ঐ বোতল থেকে এক ফোটা পানি মুমিনের চোখে ছিটিয়ে দিবেন, সাথে সাথে তার চোখ আল্লাহকে দেখার শক্তি অর্জন করবে।


(সূএঃ খাসায়েসুল কোবরা)

কুরবানীর জরুরি মাসআলা ৷

পরিবারের মধ্যে যিনি রোজগার করেন তার নামেই ক্বুরবানি ওয়াজিব। 

আমাদের সমাজের কিছু কিছু বাসায় দেখা যায় যে যুবক সন্তান রোজগার করে, বৃদ্ধ বাবা বাসায় থাকেন। তারপরেও সন্তান বাবার নামে ক্বুরবানি করে থাকে, নিজের নামে নয়। কিন্তু এই কাজ করলে সন্তানের ক্বুরবানি আদায় হবে না বরং তাকে আবার নিজ নামে ক্বুরবানি দিতে হবে, তানাহলে তার ওয়াজিব আদায় হবেনা।

.

নিজের ওয়াজিব আদায় করার পরে যার নামেই ইচ্ছা আপনি ক্বুরবানি করতে পারেন। মৃত, জীবিত, বালেগ, নাবালেগ, বৃদ্ধ, শিশু, স্ত্রী, মা সহ যেকোনো মুসলমানের নামেই করতে পারেন। ইন শা আল্লাহ

.

আবার কিছু পরিবারে একাধিক সাহিবে নেসাব থাকলে প্রত্যেককেই নিজের নামে ক্বুরবানি করতে হবে। একজনের নামে করলে শুধু তারই ওয়াজিব আদায় হবে, বাকিরা গুনাহের অধিকারী হবে। 

.

এছাড়াও আমাদের ঘরের নারীদেরও অনেকেরই সোনা থাকে যার বাজারমূল্য সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমপরিমান, তাহলে অবশ্যই তাদের উপর ক্বুরবানি ওয়াজিব যদিও তারা কোনো রোজগার নাই বা করে থাকেন।

.

এর চেয়ে দুঃখের ব্যাপার আর কিই বা হতে পারে যা, এ ব্যাপারে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। বছরের পর বছর নিজ মা বা বোন বা স্ত্রীর পর্যাপ্ত সোনা থাকার পরেও তার নামে ক্বুরবানি করেন নি। আজই তাওবা করুন এবং এই বছরেই তাদের নামে ক্বুরবানি দিন।

.

আল্লাহ আমাদের প্রকাশ্য ও গোপন উভয় গুনাহ থেকেই পরিত্রাণ দান করুন।

Tuesday, August 14, 2018

পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থ ৷

তাফসির গ্রন্হ

 


গ্রন্থের নাম

লেখকের নাম

তাফসীরে ইবনে আব্বাস

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ)


তাফসীরে ইবনে কাসীর

ইসমাঈল ইবনে কাসীর (রহঃ)


তাফসীরে কাশশাফ

আবু আল কাসিম মাহমুদ ইবনে উমার আল যামাখশারী (রহঃ)


তাফসীরে দুররে মানসুর

ইমাম জালালুদ্দিন আস সুয়ূতী (রহঃ)

তাফসীরে জালালাঈন

ইমাম জালালুদ্দিন আস সুয়ূতী (রহঃ)


তাফসীরে ইবনে জারীর / তাফসীরে ত্ববারী / তাফসীরে জামিউল বয়ান

আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে জারীর আত্‌-তবারী (রহঃ)


তাফসীরে খাজিন

আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহাম্মদ (রহঃ)


কানযুল ঈমান ওয়া খাযাইনুল ইরফান

আহমদ রেযা খান বেরলভী (রহঃ)


তাফসীরে মাদারিক / তাফসীরে নাসাফী

ইমাম আব্দুল্লাহ বিন আহমদ বিন মাহমুদ আল নাসাফী (রহঃ)


তাফসীরে বায়জাভী

তাফসীরে কবীর / মাফাতিহুল গাইব

আল্লামা ফখরুদ্দীন রাযী (রহঃ)


তাফসীরে রুহুল মা’আনী

আল্লামা শিহাবুদ্দীন আলুসী (রহঃ)


তাফসীরে কুরতুবী / তাফসীরে জামে আহকামুল কুরআন

ইমাম আবু আব্দুল্লাহ আল কুরতুবী (রহঃ)


তাফসীরে ফাতহুল কাদীর

তাফসীরে সা'বী

তাফসীরে জুমাল

তাফসীরে রুহুল বয়ান

আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী (রহঃ)


তাফসীরে নিসাপুরী

তাফসীরে মাআলিমুত তান্‌যীল / তাফসীরে বগবী

হুসাইন বিন মাসূদ আল বাগাবী (রহঃ)


ছফওয়াতুত তাফাসীর

তাফসীরে নূরুল কোরআন

মুহম্মদ আমীনুল ইসলাম (রহঃ)


তাফসীরে মা'আরেফুল কোরআন

মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ শফী (রহঃ)


তাফসীরে নঈমী

মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী (রহঃ)


তাফসীরে আহকামুল কোরআন লিল ইবনুল আরাবী

তাফসীরে সা'লাবী

আবু ইসহাক আহমদ ইবন মুহাম্মদ ইবন ইব্রাহীম আল সালাবী (রহঃ)


তাফসীরে সাম'আনী

তাফসীরে ইবনে রজব

তাফসীরে কাশফুল আসরার

তাফসীরে আবী সাউদ

ইমাম আবূ সাউদ মুহম্মদ ইবনে মুহম্মদ ইমাদী (রহঃ)


তাফসীরে মাওয়ারদী

আবুল হাসান আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে হাবীব মাওয়ারাদী বছরী (রহঃ)


তাফসীরে যাদুল মাসীর (জাওযী)

ইমাম আবুল ফারজ জামালুদ্দীন আব্দুর রহমান ইবনে আলী ইবনে মুহম্মদ জাওযী ক্বোরাঈশী বাগদাদী (রহঃ)


তফসীরে নাযমুদ দুরার

ইমাম বুরহানুদ্দীন আবুল হাসান ইব্রাহীম ইবনে ওমর ফাক্বায়ী (রহঃ)


তাফসীরে গরায়েবুল কুরআন

তাফসীরে ক্বাদেরী / তাফসীরে হুসাইনী

মহিউদ্দিন হুসাইন ক্বাদরী (রহঃ)


তাফসীরে মাওয়াহেবুর রহমান

তাফসীরে মুদ্বিহুল কুরআন

তাফসীরে মাজেদী

তাফসীরে আলী হাসান

তাফসীরে তাহেরী

জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিনের ফজিলত ৷৷

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম

যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের বিস্ময়কর ফদ্বীলত ও আমাল

আমাদের সামনে যে মাস আসছে,তা যিলহজ্জ। কুরআন কারীমে আল্লাহ তা‘আলা এদিনগুলোর শপথ নিয়েছেন, বেশী বেশী যিকর করতে নির্দেশ করেছেন । এছাড়াও হাদীস শরীফে এই মাসের প্রথম দশ দিনের রাত জেগে ইবাদাত, রোযা রাখা, তাসবীহ-তাহলীলের অনেক ফদ্বীলত বর্ণিত হয়েছে। আমরা এই দশ দিন সম্পর্কে আলোচনা তুলে ধরছি।


কুরআন কারীমে যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশদিনের ফদ্বীলতের ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া যায। যেমন-


...وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ   


অনুবাদ : ..... এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে যেন তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করে..।


তাফসীরে ইবন কাছীর এ হযরত ইবন আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে এখানে أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ 'নির্দিষ্ট দিনসমূহ' দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে যিলহজ্জের ‘দশ রাত’।


অনুরূপ আল কুরআন আল কারীমের সূরা ফাজরে আল্লাহ তা’আলা এই দশ রাত্রির কসম করেছন। আল্লাহ তাআলা যেসব বিষয়ের কসম করেছেন সেসকল বিষয় ইহকালীন অথবা পরকালীন জীবনে কোন না কোন গুরুত্ব বহন করে। আল্লাহ তাআলা সূর্যের শপথ করেছেন, চন্দ্রের শপথ করেছেন, তারকারাজির শপথ করেছেন,মক্কা মুকাররামার শপথ করেছেন, কুরআন শরীফের শপথ করেছেন,প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনের শপথ নিয়েছেন, তেনতেমনিভাবে এই দশ রাত্রিরও শপথ করেছেন-

والفجر * وليال عشر

 ফজরের শপথ, আর দশ রাত্রির শপথ। (সূরা ফজর, আয়াত : ১-২)


এ আয়াতের ব্যাপারেও ইমাম তাবারী বলেন- ‘দশ রাতের শপথ’ এর দ্বারাও যিলহজ্জ- এর প্রথম দশ রাত উদ্দেশ্য। কেননা এ ব্যাপারে কুরআন বিশেষজ্ঞগণ ইজমা পোষণ করেছেন।


আর ইবন কাসীর তার তাফসীরে সূরা ফজরের এ আয়াতের ব্যাপারে বলেন- হযরত ইবন আব্বাস (রা.), ইবনু যুবায়র (রা.), মুজাহিদসহ পূর্বাপর  প্রায় সবাই এমত পোষণ করেন যে এর দ্বারা যিলহজ্জের ১ম দশ রাত উদ্দেশ্য। 


সূরা ফজরের পরবর্তী আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা জোড় ও বেজোড়ের শপথ নিয়েছেন। হাদীসের ভাষ্য থেকে বুঝা যায় এ দু’টিও যিলহজ্জের প্রথম দশকের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন-


হযরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত- তিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সূত্রে বর্ণনা করেন-

 নিশ্চয় (সূরা ফজরের আয়াতস্থিত) দশ রাত দ্বারা যিলহজ্জের ১০ রাত আর والشفع والوتر এর  والوتر (বেজোড়) দ্বারা আরফার দিন (৯ তারিখ) এবং والشفع (জোড়) দ্বারা কুরবানীর দিন (১০ তারিখ) উদ্দেশ্য।  (আহমদ ৩য় খন্ড : হাদীস নং-১৪৫৫১)


যিলহজ্জের প্রথম ১০ দিনের ফদ্বীলতের ব্যাপারে বহু হাদীসেও উল্লেখ পাওয়া যায়-ল


এইদিনের আমল আল্লাহর আছে সবচেয় প্রিয়


হযরত ইবন আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত হতে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমায়েছেন-

 ما من أيامٍ العمل الصالح فيها أحبُّ إلى الله من هذه الأيامِ ( يعني أيامَ العشر ) . قالوا : يا رسول الله ، ولا الجهادُ في سبيل الله ؟ قال : ولا الجهادُ في سبيل الله إلا رجلٌ خرج بنفسه وماله فلم يرجعْ من ذلك بشيء. *

- এমন কোনো দিবস নেই যার আমল জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল থেকে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় হবে। প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর পথে জিহাদ করা থেকেও কি অধিক প্রিয়? রাসূলুল্লাহ (সাঃ)বললেন, হাঁ জিহাদ করা থেকেও অধিক প্রিয় তবে যদি এমন হয় যে, ব্যক্তি তার জান-মাল নিয়ে আল্লাহর পথে বের হল এবং এর কোনো কিছুই ফেরত নিয়ে এল না।(আবূ দাঊদ হাদীস নং : ২৪৩৮)


সর্বোত্তম দিন


হযরত জাবির (রা.) হতে বর্নিত আরেকটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে- যিলহজ্জের ১০ দিন সর্বোত্তম দিন। 

ইবন হিব্বান সূত্রে বর্ণিত হয়েছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমায়েছেন-

ما من أيامٍ أفضل عند الله من أيامَ عشر ذي الحجة. 

-যিলহজ্জের প্রথম ১০ দিনের মত উত্তম দিন আল্লাহর কাছে আর কোনটিই নয়। (ইবন হিব্বান, খ-৯, হাদীস নং-৩৮৫৩)


জিহাদ হতেও উত্তম  


উপরুক্ত হাদীসে আরো বর্ণিত হয়েছে যে, এক ব্যক্তি প্রশ্ন করলেন- এগুলো উত্তম না যে দিনগুলো জিহাদে কাটানো হয় সেদিনগুলো উত্তম? তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমালেন এগুলো জিহাদে কাঠানো দিনের চেয়েও উত্তম। 


এদিনগুলোর আমল পবিত্রতমও সওয়াবে সর্বোত্তম :


হযরত ইবন আব্বাস (রা.) নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সূত্রে বর্ণনা করেন-

ما من عملٍ أزكى عند الله ولا أعظم أجراً من خيرٍ يعمله في عشر الأضحى... ( رواه الدارمي( . 

-আল্লাহর কাছে উত্তম কাজসমূহের মধ্যে পবিত্রতম ও প্রতিদানের বিবেচনায় সবচেয়ে বড় আমল হচ্ছে যা আদ্বাহার দশদিনে সম্পাদন করা হয়। ...... (দারেমী, খ--২, হাদীস নং-১৭৭৪)


দুনিয়ার মাঝে সর্বোত্তম দিন :


হযরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমায়েছেন “দুনিয়ার দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে ‘দশ দিন’ অর্থাৎ যিলহজ্জ মাসের দশদিন। বলা হলো আল্লাহর পথে (জিহাদে) ব্যায়িত দিনগুলোও এর মত নয়? তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- আল্লাহর পথের দিনগুলোও এর সমান নয়, তবে যে তারা যারা নিজের মুখম-ল ধূলো ধূসরিত করল (অর্থাৎ শহীদ হলো)। (হাইসামী, খ--৪, পৃষ্ঠা নং-১৭)


এত ফদ্বীলত হওয়ার পেছনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোও রয়েছে-


যিলহজ্জের প্রথম দশদিনের মধ্যে রয়েছে-


১. তারবীয়ার দিন (يوم التروية) এটি হচ্ছে যিলহজে¦র ৮ম দিন। যেদিনে হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মুহরিম অবস্থায় হাজীগন মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।


২. এর মাঝে রয়েছে আরফার দিন। এটি অত্যন্ত ফদ্বীলতের দিন। হাদীসে এসেছে-


#আরফাই হচ্ছে হজ্জ। (الحج العرفة)


# আল্লাহ এ দিনে আরফার ময়দানে উপস্থিত ও অনুপস্থিত মুমিনদের মাফ করে দেন। 


#এ দিনে আল্লাহ আরফার ময়দানে উপস্থিতদের নিয়ে ফিরিস্তাদের মাঝে গৌরব করেন। (মুসলিম শরীফে হযরত আয়শা (রা.) বর্ণিত হাদীসে দ্রষ্টব্য)


# এই দিনে রোযা রাখলে আগের ও পরের ২ বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।


৩. এই দিনগুলোতেই মুজদালিফায় অবস্থান করা হয়।


৪. এর মাঝেই ইসলামের ৫ম স্তম্ভ হজ্জ সম্পাদিত হয়।


৫. এদিনগুলোর ১০ দিনে কুরবানীর সূচনা হয়। আর এটি দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিন


ফেসবুকে এডমিন 

ঘুমানোর পূর্বে ১০টি সুন্নত, সবাই পড়ুন, অন্যকে জানান ৷৷


■ঘুমানোর পূর্বের ১০টি সুন্নত■

      ---------------------------------------

☛০১● ভালোভাবে বিছানা ঝেড়ে নেয়া। বুখারীঃ- ৬৩২০

ফেসবুকে আমি 

☛০২● ঘরের দরজা আল্লাহর নামে বন্ধ করা। বুখারীঃ- ৫৬২৩


☛০৩● শয়নের সময় দু'আ পাঠ করা যেমনঃ- আল্লাহুম্মা বিসমিকা আ'মুতু ওয়া আহইয়া। বুখারীঃ- ৬৩১৪


☛০৪● ডান কাত হয়ে শোয়া। বুখারীঃ- ৬৩১৫


☛০৫● শরীরের নাপাক স্থান ধুয়ে অযু করে নেয়া। বুখারীঃ- ২৮৮


☛০৬● সাধারণত সতর খোলা অবস্থায় না শোয়া। তিরমিযীঃ- ২৭৬৯


☛০৭● বিনা কারণে উপুড় হয়ে না শোয়া। তিরমিযীঃ- ২৭৬৮


☛০৮● ঘুমানোর সময় আগুনের বাতি জ্বালিয়ে না রাখা। তিরমিযীঃ- ১৮১৩


☛০৯● দুঃস্বপ্ন দেখলে পার্শ্ব পরিবর্তন করে শোয়া। মুসলিমঃ- ৫৯০১


☛১০● দুঃস্বপ্ন দেখলে প্রথমে বাম দিকে তিনবার থুথু ছিটা এবং দুঃস্বপ্ন ও শয়তান থেকে - হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই" এভাবে তিনবার বলা। দুঃস্বপ্ন কাউকে না বলা। মুসলিমঃ- ৫৯০২

Monday, August 13, 2018

হযরত খাজা আব্দুর রহমান চৌহরভী(রহঃ) কারামাত ৷৷

হযরত খাজা আব্দুর রহমান চৌহরভী (রাঃ) কে তাঁর লিখিত দরূদ শরীফের অদ্বিতীয় গ্রন্থ মজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসুল ﷺ যেটি ৩০ পারায় সন্নিবেশিত, প্রতি পারা ৪৮ পৃষ্ঠা করে ১৪৪০ পৃষ্ঠায় ৬৬৬৬ টি দরূদ সম্বলিত  এ বিশাল কিতাব রচনা করার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,


 “আমি শুধু কাগজের উপর কলম বসিয়ে রাখতাম, আর সরকারে দো আলম ﷺ নূরানী চেহারা মুবারকের প্রতি মুতাওয়াজ্জুহ হয়ে বসতাম। এদিকে আপন গতিতে চলতে শুরু করে আমার কলম। 


পরবর্তীতে সেটাই মজমুয়ায়ে সালাওয়াতির রাসুল (ﷺ) তথা ত্রিশ পারা দরুদ শরীফ এর গ্রন্থ এ পরিণত হয়ে গেল।

সুবহানআল্লাহ

Sunday, August 12, 2018

সিয়াহ সিত্তাহ ছাড়াও আরো ৫৯ টি সহীহ হাদীস শরীফের কিতাবের নাম মুবারক উল্লেখ করা হলো ৷৷


সিয়াহ সিত্তাহ ছাড়াও আরো ৫৯ টি সহীহ হাদীস শরীফের  কিতাবের নাম মুবারক উল্লেখ করা হলো-

------------------------------------------------------------------------------------

🌙••••••• জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া মহিলা মাদ্রাসা •••••••🌙

------------------------------------------------------------------------------------

(১) মুসনাদুল ইমাম আবু হানীফা।

বিলাদাত- ৮০ হিজরী, ওফাত- ১৫০ হিজরী।

(২) আল মুয়াত্তা লি ইমাম মালেক।

জন্ম- ৯৫ হিজরী, ওফাত- ১৭৯ হিজরী।

(৩) আল মুয়াত্তা লি ইমাম মুহম্মদ ।

জন্ম- ১৩৫ হিজরী, ওফাত- ১৮৯ হিজরী।

(৪) আল মুছান্নাফ লি আব্দুর রাজ্জাক।

জন্ম- ১২০/১২৬ হিজরী, ওফাত- ২১১ হিজরী।

(৫) মুসনদে আহমদ বিন হাম্বল।

জন্ম- ১৬৪ হিজরী, ওফাত- ২৪১ হিজরী।

(৬) মুসনাদুত তায়লাসী।

জন্ম-___, ওফাত- ২০৪ হিজরী।

(৭) কিতাবুল আছার লি ইমাম আবু ইউছুফ।

জন্ম- ১১৩ হিজরী, ওফাত- ১৮২ হিজরী।

(৮) মুসনাদুল হুমায়দী।

জন্ম-____ , ওফাত- ২১৯ হিজরী।

(৯) মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ।

জন্ম- ১৫৯ হিজরী, ওফাত- ২৩৫ হিজরী।

(১০) আল জামিউল মুসনাদুছ ছহীহুল মুখতাছারু মিন উমুরি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া সুনানিহী ওয়া আইয়ামিহী ( বুখারী শরীফ)

জন্ম- ১৯৪ হিজরী, ওফাত- ২৫৬ হিজরী।

(১১) আছ ছহীহুল মুসলিম ।

জন্ম- ২০৪ হিজরী, ওফাত- ২৬১ হিজরী।

(১২) সুনানু আবু দাউদ।

জন্ম- ২০২ হিজরী, ওফাত- ২৭৫ হিজরী।

(১৩) আল জামিউ ওয়াস সুনানুত তিরমিযী।

জন্ম- ২১০ হিজরী, ওফাত ২৭৯ হিজরী।

(১৪) সুনানুন নাসায়ী।

জন্ম- ২১৫ হিজরী, ওফাত- ৩০৩ হিজরী।

(১৫) সুনানু ইবনে মাজাহ।

জন্ম- ২০৯ হিজরী, ওফাত- ২৭৩ হিজরী।

(১৬) সুনানুদ দারিমী।

জন্ম- ১৮১ হিজরী, ওফাত- ২৫৫ হিজরী।

(১৭) মুসনাদুল বাযযার।

জন্ম-_____ , ওফাত- ২৯২ হিজরী।

(১৮) শরহু মা’আনিল আছার (ত্বাহাবী শরীফ)

জন্ম- ২২৯ হিজরী, ওফাত- ৩২১ হিজরী।

(১৯) ছহীহ ইবনে হিব্বান।

জন্ম- ৩৫৪ হিজরী, ওফাত- ৪৬৫ হিজরী।

(২০) মাছাবিহুস সুন্নাহ ও মিশকাত।

জন্ম- ৪৩৬ হিজরী, ওফাত- ৫১৬ হিজরী।

(২১) আল মু’জামুছ ছগীর লিত তাবরানী।

জন্ম- ২৬০ হিজরী, ওফাত- ৩৬০ হিজরী।

(২২) আল মু’জামুল আওসাত লিত ত্বাবরানী।

জন্ম- ২৬০ হিজরী, ওফাত- ৩৬০ হিজরী।

(২৩) আল মু’জামুল কবীর লিত তাবরানী।

জন্ম- ২৬০ হিজরী, ওফাত- ৩৬০ হিজরী।

(২৪) আল মুস্তাদরাক আলাছ ছহীহাইন।

জন্ম- ৩২১ হিজরী, ওফাত- ৪৫০ হিজরী।

(২৫) ছহীহ ইবনু খুযাইমাহ।

জন্ম- ২২৩ হিজরী, ওফাত- ৩১১ হিজরী।

(২৬) আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী।

জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৪৫৮ হিজরী।

(২৭) আস সুনানুছ ছগীর লিল বাইহাক্বী।

জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৪৫৮ হিজরী।

(২৮) শুয়াইবুল ঈমান লিল বাইহাক্বী।

জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৪৫৮ হিজরী।

(২৯) মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার লিল বাইহাক্বী।

জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৩৫৮ হিজরী।

(৩০) শরহুস সুন্নাহ লিল বাগবী।

জন্ম- ৪৩৬ হিজরী, ওফাত- ৫১৬ হিজরী।

(৩১) মা’রিফাতুছ ছাহাবা লি আবী নুয়াইম।

জন্ম- ৩৩৬ হিজরী, ৪৩০ হিজরী।

(৩২) জামিউল আহাদীস লিছ সূয়ুতি।

জন্ম- ৮৪৯ হিজরী, ওফাত- ৯১১ হিজরী।

(৩৩) গায়াতুল মাক্বছাদ ফী যাওয়ায়িদিল মুসনাদ।

জন্ম- ৭৩৫, ওফাত- ৮০৭ হিজরী।

(৩৪) কানযুল উম্মাল।

জন্ম-_____ , ওফাত- ৯৭৫ হিজরী।

(৩৫) আখবারু মক্কতা লি আযরাক্বী।

(৩৬) ছহীহ ইবনে ওয়ায়না।

(৩৭) সহীহ ইবনুস সাকান।

(৩৮) সহীহ মোন্তাকা।

(৩৯) মুখতাসা রেজিয়াহ।

(৪০) সহীহ যুরকানী।

(৪১) সহীহ ইসফেহানী।

(৪২) সহীহ ইসমাঈলী।

(৪৩) কিতাবুল খেরাজ।

(৪৪) কিতাবুল হেজাজ।

(৪৫) কিতাবুল আ’মলী।

(৪৬) মুসনাদে শাফেয়ী।

(৪৭) মুসনাদে আবু ইয়ালা।

(৪৮) মুসনাদে দারে কুতনী।

(৪৯) কিতাবুল ই’তিকাদ।

(৫০) কিতাবুদ দোয়া।

(৫১) মুসনাদে হারেস ইবনে উমামা।

(৫২) মুসনাদে বাজ্জার।

(৫৩) সুনানে সাঈদ ইবনে মনছুর।

(৫৪) সুনানে আবী মুসলিম।

(৫৫) শিফা শরীফ।

(৫৬) আল হুলইয়া।

(৫৭) তাহযীবুল আছার।

(৫৮) আল মুখতারা।

(৫৯) জামিউল মাসানিদ ওয়াস সুনান

(((( রহমাতুল্লাহি আলাইহিম )))

এছাড়াও আরো অসংখ্য অগনিত সহীহ হাদীস শরীফের কিতাব রয়েছে। সুবহানাল্লাহ্!

মুলত হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াতে তাশরীফ মুবারক হতে শুরু করে বিছাল শরীফ পর্যন্ত অর্থাৎ ৬৩ বছর পর্যন্ত যত কথা, কাজ, সম্মতি প্রকাশ করেছেন সবই পবিত্র হাদীস শরীফের অন্তর্গত। কিন্তু উছুল অনুযায়ী যদি ৪০ বছর মুবারক থেকে ৬৩ বছর মুবারক পর্যন্ত ২৩ বছরও যদি ধরি, এই ২৩ বছরে যত কথা, কাজ, সম্মতি প্রদান করেছেন সবই হাদীস শরীফ।

অংক করে দেখুন,

২৩×৩৬৫= ৮৩৯৫ দিন।

আবার, ৮৩৯৫×২৪= ২০১৪৮০ ঘন্টা।

আবার, ২০১৪৮০×৬০= ১২০৮৮৮০০ মিনিট।

অর্থাৎ মিনিটে হিসাব করলেও এক কোটি বিশ লক্ষ আটাশি হাজার আটশত মিনিট।

এখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিটা কওল, ফেল, তাকরীর সবই যদি হাদীস শরীফ হয় চিন্তা এবং ফিকিরের বিষয় ২৩ বছরে কতগুলো হাদীস শরীফ হবে।

অথচ আজকাল কিছু ওহাবী খারেজীরা বলে বুখারী মুসলিম ছাড়া আর কিছু মানি না। নাউযুবিল্লাহ!!

তাদের কাছে প্রশ্ন তবে কি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২৩ বছরে মাত্র দশ হাজার কওল (কথা), ফেল (কাজ), তাকরীর( মৌন সম্মতি) করেছেন ?

বিবেক বোধ কি কিছু আছে নাকি নষ্ট হয়ে গেছে ???

এই কিতাবের তালিকাই দেখুন। ওহাবীরা এর কয়টা নাম জানে ? এসব কিতাব কি তারা কখনো দেখেছে না গবেষনা করেছে ?

এসব কিতাব দেখাতো দূরের কথা তারা মূল আরবি বুখারী শরীফ মুসলিম শরীফই চোখে দেখে নাই। শুধু বুখারী শরীফ পড়তেই এদের সারা জীবন লেগে যাবে আর এসকল কিতাব যাচাই করবে কখন?

উক্ত তালিকায় এমনও অনেক কিতাব আছে যার এক একটাতেই ২০-৫০ হাজারেরও বেশি হাদীস শরীফ আছে।কয়টা তারা পড়েছে? কয়টার রাবির জীবনি সম্পর্কে ধারনা আছে?

 কোন যোগ্যতায় তারা হাদীস অস্বীকার করে ?

Featured post

কুরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি মাসআলা

 কোরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি মাসআলা ||-----๑▬▬๑﷽๑▬▬๑-----|| কোরবানী একটি ঐতিহাসিক স্মৃতিময় আমল। আল্লাহ বলেন فصل لربك وانحر হে নবী! আপনি ...