Tuesday, September 18, 2018

"জা'ফর ইবনে আবী তালিব" নামে কাউকে চেনেন???

"জা'ফর ইবনে আবী তালিব" নামে কাউকে চেনেন???


হুম তিনি এক গোলামে মোস্তফা যার দুই হাত  উৎসর্গ  করার পর নিজের জীবন পর‍্যন্ত উৎসর্গ করেছিলেন....


শুনুন তাহলে,

অষ্টম হিজরীর প্রথম দিকে সিরিয়ার রোমান বাহিনীকে আক্রমণের জন্য রাসূল সা. সেনাবাহিনী প্রস্তুত করলেন। যায়িদ বিন হারিসা রাঃ কে সেনাপতি নিয়োগ করে তিনি বললেনঃ তিনি নিহত হলে আমীর হবে জা’ফর ইবন আবী তালিব রাঃ।উনি নিহত বা আহত হলে আমীর হবে আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা । আর উনি নিহত বা আহত হলে মুসলমানরা নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে আমীর নির্বাচন করবে।’ মুসলিম বাহিনী জর্দানের সিরিয়া সীমান্তের ‘মূতা’ নামক স্থানে পৌঁছে দেখতে পেল, এক লাখ রোমান সৈন্য তাদের মুকাবিলার জন্য প্রস্তুত এবং তাদের সাহায্যের জন্য লাখম, জুজাম, কুদাআ ইত্যাদি আরব গোত্রের আরও এক লাখ খৃষ্টান সৈন্য পেছনে প্রতীক্ষা করছে। অন্যদিকে মুসলমানদের সৈন্যসংখ্যা মাত্র তিন হাজার। যুদ্ধ শুরু হতেই যায়িদ বিন হারিসা রাঃ বীরের ন্যায় শাহাদাত বরণ করেন। অতপর জা’ফর বিন আবী তালিব রাঃ তাঁর ঘোড়ার পিঠ থেকে লাফিয়ে পড়েন এবং শত্রু বাহিনী যাতে সেটি ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য নিজের তরবারী দ্বারা ঘোড়াটিকে হত্যা করে ফেলেন। তারপর পতাকাটি তুলে ধরে রোমান বাহিনীর অভ্যন্তরভাগে বহু দূর পর্যন্ত প্রবেশ করে শত্রু নিধন কার্য চালাতে থাকেন। এমতাবস্থায় তাঁর ডান হাতটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। তিনি বাম হাতে পতাকা উঁচু করে ধরেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তরবারির অন্য একটি আঘাতে তাঁর বাম হাতটিও দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবুও তিনি হাল ছাড়লেন না। বাহু দিয়ে বুকের সাথে জাপ্টে ধরে তিনি ইসলামের পতাকা সমুন্নত রাখলেন। এ অবস্থায় কিছুক্ষণ পর তরবারির তৃতীয় একটি আঘাতে তাঁর দেহটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।


হযরত জা’ফরের শাহাদাতের পর দীর্ঘদিন ধরে রাসূল সা. শোকাভিভূত ও বিমর্ষ ছিলেন। হযরত জিবরীল আ. উনাকে সুসংবাদ দান করেন যে, আল্লাহ তা’আলা সৈয়দুনা জা’ফরকে তাঁর দুটি কর্তিত হাতের পরিবর্তে নতুন দু’টি রক্তরাঙা হাত দান করেছেন এবং তিনি জান্নাতে ফিরিশতাদের সাথে উড়ে বেড়াচ্ছেন। এ কারণে তাঁর উপাধি হয়, ‘যুল-জানাহাইন’ ও ‘তাইয়ার’- দু’ ডানাওয়ালা ও উড়ন্ত।


সুবহানাল্লাহ


একহাতে ইনজুরি নিয়ে ক্রিকেট খেলাতে তোমরা যেভাবে উচ্ছ্বাসিত হচ্ছো,তোমরা কি "জা'ফর ইবনে আবী তালিবে"র গল্প জানো??


শোনো তাহলে,

অষ্টম হিজরীর প্রথম দিকে সিরিয়ার রোমান বাহিনীকে আক্রমণের জন্য রাসূল সা. সেনাবাহিনী প্রস্তুত করলেন। যায়িদ বিন হারিসাকে সেনাপতি নিয়োগ করে তিনি বললেনঃ ‘যায়িদ নিহত হলে আমীর হবে জা’ফর ইবন আবী তালিব। জা’ফর নিহত বা আহত হলে আমীর হবে আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা। আর সে নিহত বা আহত হলে মুসলমানরা নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে আমীর নির্বাচন করবে।’ মুসলিম বাহিনী জর্দানের সিরিয়া সীমান্তের ‘মূতা’ নামক স্থানে পৌঁছে দেখতে পেল, এক লাখ রোমান সৈন্য তাদের মুকাবিলার জন্য প্রস্তুত এবং তাদের সাহায্যের জন্য লাখম, জুজাম, কুদাআ ইত্যাদি আরব গোত্রের আরও এক লাখ খৃষ্টান সৈন্য পেছনে প্রতীক্ষা করছে। 


অন্যদিকে মুসলমানদের সৈন্যসংখ্যা মাত্র তিন হাজার। যুদ্ধ শুরু হতেই যায়িদ বিন হারিসা বীরের ন্যায় শাহাদাত বরণ করেন। অতপর জা’ফর বিন আবী তালিব তাঁর ঘোড়ার পিঠ থেকে লাফিয়ে পড়েন এবং শত্রু বাহিনী যাতে সেটি ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য নিজের তরবারী দ্বারা ঘোড়াটিকে হত্যা করে ফেলেন। তারপর পতাকাটি তুলে ধরে রোমান বাহিনীর অভ্যন্তরভাগে বহু দূর পর্যন্ত প্রবেশ করে শত্রু নিধন কার্য চালাতে থাকেন। এমতাবস্থায় তাঁর ডান হাতটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। তিনি বাম হাতে পতাকা উঁচু করে ধরেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তরবারির অন্য একটি আঘাতে তাঁর বাম হাতটিও দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবুও তিনি হাল ছাড়লেন না। বাহু দিয়ে বুকের সাথে জাপ্টে ধরে তিনি ইসলামের পতাকা সমুন্নত রাখলেন। এ অবস্থায় কিছুক্ষণ পর তরবারির তৃতীয় একটি আঘাতে তাঁর দেহটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।


হযরত জা’ফরের শাহাদাতের পর দীর্ঘদিন ধরে রাসূল সা. শোকাভিভূত ও বিমর্ষ ছিলেন। অবশেষে হযরত জিবরীল আ. তাঁকে সুসংবাদ দান করেন যে, আল্লাহ তা’আলা জা’ফরকে তাঁর দুটি কর্তিত হাতের পরিবর্তে নতুন দু’টি রক্তরাঙা হাত দান করেছেন এবং তিনি জান্নাতে ফিরিশতাদের সাথে উড়ে বেড়াচ্ছেন। এ কারণে তাঁর উপাধি হয়, ‘যুল-জানাহাইন’ ও ‘তাইয়ার’- দু’ ডানাওয়ালা ও উড়ন্ত।


একজন ক্রিকেটার এক হাত দিয়ে খেলেছে।তা নিয়ে আমরা আজ এতো আবেগ দেখাচ্ছি।উচ্ছ্বাসে আত্নহারা হয়ে যাচ্ছি। অথচ দুই হাত অকাতরে বিলিয়ে দিয়ে যিনি আল্লাহর মনোনীত জীবন ব্যাবস্থা ইসলামকে বিজয়ী করলেন তাকে আমরা চিনিইনা।


আমি ঐ খেলোয়ারকে ছোট করছিনা।তবে খেলাটা যে তার পেশা তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।সুতরাং একজন পেশাদার তার পেশাদারীত্ব দেখাবেন এটাই স্বাভাবিক।


জানিনা তার এই খেলা কতজনকে কিভাবে মুক্তি দিতে পারবে,তবে এইসব বিষয় নিয়ে করা অতি রঞ্জন যেন আমাদের পরকালীন মুক্তির পথে বাঁধা না হয়।

No comments:

Post a Comment

Featured post

কুরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি মাসআলা

 কোরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি মাসআলা ||-----๑▬▬๑﷽๑▬▬๑-----|| কোরবানী একটি ঐতিহাসিক স্মৃতিময় আমল। আল্লাহ বলেন فصل لربك وانحر হে নবী! আপনি ...