Sunday, July 7, 2019

ধর্ষণের পর কোরআন শরিফে হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করাতেন মাদরাসা অধ্যক্ষ !!


চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘটছে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনা। এসব থেকে রেহাই পাচ্ছে না ছোট ছোট শিশুরাও। শুক্রবারও নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় শিশু শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একটি মাদরাসার অধ্যক্ষকে আটক করে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। মাওলানা আবুল খায়ের বেলালী নামে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুটি ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। এক বছরে তিনি ছয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
এদিকে অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল খায়ের বেলালীর ধর্ষণের বর্ণনা তুলে ধরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহজাহান মিয়া। তিনি লিখেছেন, ‘তিনি একজন দাওরায়ে হাদিস মাওলানা (সিলেট বালুরচর কওমি মাদরাসা থেকে), একজন বক্তা, একজন ইমাম, শুক্রবারের জুমার নামাজের খতিব। মাওলানা (!) আবুল খায়ের বেলালী। শুক্রবারও তার বয়ান শোনার জন্য আধা ঘণ্টা আগে মুসল্লিরা এসে অপেক্ষা করেন মসজিদে। তিনি যে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক (মুহতামিম) সেই মা হাওয়া (আ.) কওমি মহিলা মাদরাসায় প্রায় ৩৫ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রী রয়েছে, যাদের ১৫ জন আবাসিক। সেখানে তিনিও আবাসিক।
সময় সুযোগ বুঝে তিনি কলিংবেল চাপেন আর ওনার পছন্দমতো একজন কোমলমতি ছাত্রীর ডাক পড়ে তার শরীর টিপে দেয়ার জন্য। এক পর্যায়ে তিনি সেই অবুঝ শিশুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। শেষে আবার কোরআন শরিফ হাতে দিয়ে শপথ করান কাউকে কিছু না বলার জন্য। বললে আল্লাহ তাকে দোযখের আগুনে পোড়াবেন বলেও হুমকি দেন। ভয়ে কোমলমতি ছাত্রীরা কাউকে কিছু বলে না। কিন্তু এক সাহসী বীরাঙ্গনা সেই ভয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয়, বলে দেয় তার বড় বোনসহ বাড়ির সবাইকে সেই যন্ত্রণার মুহূর্তগুলোর কথা।

স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় আটক হন সেই হুজুররূপি ধর্ষক। থানায় আটক থাকা অবস্থায় আরও এক শিশু শ্রেণির ছাত্রীর অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে তার নামে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য পাই, গত এক বছরে আরও ছয় ছাত্রীর সঙ্গে তিনি একই রকম কুকর্ম করেছেন। যাদের সবার বয়স ৮ থেকে ১১ এর মধ্যে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু আলামত জব্দ করি, সঙ্গে সঙ্গে ই ‘কলিংবেল’ও যা আদালতে উপস্থাপন করা হবে। হুজুরকে রিমান্ডে আনা হবে।’


 স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাওলানা আবুল খায়ের বেলালী স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের সহায়তায় ২০১৫ সালে ওই মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে অধ্যক্ষের (মুহ্তামিমের) দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তিনি শিশু শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন। এ সময় শিশুটির চিৎকারে অন্য শিক্ষার্থীরা ছুটে এসে অধ্যক্ষকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানা পুলিশের ওসি রাশেদুজ্জামান জানান, দুটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে মাদরাসার ওই অধ্যক্ষের (মুহতামিম) নামে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এবার মাত্র ১২ ছাত্রীকে ধর্ষণ ! কাওমী মাদরাসার হুজুর আটক !!



নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্কুলের পর এবার ফতুল্লায় মাদ্রাসার ১২ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) দুপুরে আটকের পর র‌্যাবের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন তিনি। অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।


র‌্যাব জানায়, গত ২৭ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় ২০ ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অক্সফোর্ড হাই স্কুলের শিক্ষক আশরাফুল আরিফকে গ্রেফতার করা হয়। সময় সংবাদে প্রতিবেদন প্রচারের পর ফতুল্লা বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী ও তার পরিবার র‌্যাবের কাছে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসার আরো কয়েকজন ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একই অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আল আমিনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে নিজ দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন বলেন, এই মাদ্রাসার যে শিক্ষক সে একাধিক ছাত্রীকে পড়তে আসার সময় যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করেছেন। এরকম ১২ জন ছাত্রীর নাম পেয়েছি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আল আমিন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। একই সঙ্গে নয়ামাটি এলাকার একটি মসজিদের ইমাম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানায় র‌্যাব।

Saturday, July 6, 2019

ছাত্রীকে ধর্ষণ ! কাওমী মাদ্রাসার শিক্ষক আটক, গণধোলাই !!


নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আবুল খায়ের বেলালী নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বাদে আঠারবাড়ি গ্রামের মা হাওয়া (আ.) কওমি মহিলা মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। এর আগেও এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
আবুল খায়ের বেলালী সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার গোনাকালী গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দুয়া উপজেলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
এদিকে আবুল খায়ের বেলালীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে, আবুল খায়ের শিক্ষক হিসেবে বাদে আঠারবাড়ি গ্রামে নবনির্মিত মা হাওয়া (আ.) কওমি মহিলা মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছিলেন। শুক্রবার সকালে মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে তিনি তাঁর কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ সময় এলাকার লোকজন ওই শিক্ষককে আটক করে গণধোলাই দেয়।
খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানার পুলিশ গিয়ে আবুল খায়েরকে আটক করে থানা নিয়ে যায়।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে বিষয়টি টের পেয়ে এলাকার লোকজন শিক্ষক আবুল খায়েরকে আটক করে। পরে পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে আসে।
এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল জানিয়ে ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘দুই শিশু ছাত্রীকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’

নাউযুবিল্লাহ! হজ্জের পূর্বে কনসার্টের আয়োজন সৌদি আরবে, পপ তারকা নিকি মিনাজ ৷৷


পবিত্র হজ্জ শুরু হওয়ার প্রাক্কালে আগামী ১৮ ই জুলাই  জেদ্দার কিং আব্দুল্লাহ স্টেডিয়ামে ১০০% পর্দা সহকারে হালাল কনসার্ট করতে আসছেন, আমেরিকান নর্তকী নিকি মিনাজ। আশা করছি ডাঃ জাকির নায়েকের পিস টিবি থেকে সরাসরি সম্প্রচার করে আহলে হাদিস, লামাজহাবীদের হালাল ড্যান্স, হালাল গান দেখার সুযোগ করে দিবে কর্তৃপক্ষ।

https://edition-m.cnn.com/2019/07/03/us/nicki-minaj-saudi-arabia-trnd/index.html?r=https%3A%2F%2Fwww.google.com%2F

https://townhall.com/entertainment/yuichirokakutani/2019/07/03/nicki-minaj-saudi-arabia-n2549472

https://egyptianstreets.com/2019/07/03/nicki-minaj-to-perform-at-jeddah-music-festival/

https://www.bbc.co.uk/news/amp/world-middle-east-48861071

Thursday, July 4, 2019

ধর্মের জন্য অভিনয় ছায়লেন দঙ্গল কন্যা জায়রা !!


#ধর্মের_জন্য_অভিনয়_ছাড়লেন_দঙ্গল_কন্যা_জায়রা!

বলিউড সুপারস্টার আমির খানের ‘দঙ্গল’ সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিম। তারপর একের পর এক ছবির প্রস্তাবও আসতে থাকে তার কাছে। গত মার্চে তিনি শেষ করেছেন ‘দ্য স্কাই ইন পিঙ্ক’ ছবির শুটিং। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ভারতের ‘ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড’সহ কয়েকটি পুরস্কার লাভ করেছেন।

তবে নতুন খবর হলো ১৮ বছরের জায়রা অভিনয়কে বিদায় জানালেন। ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে এসে তার এমন সাহসী  ঘোষণায় অবাক গোটা বলিউড। ধর্মভীরু জায়রা জানান, অভিনয় ক্যারিয়ার তার বিশ্বাস এবং ধর্মের মাঝখানে এসে দাঁড়িয়েছে। ইসলামে এই ধরনের অভিনয় হারাম।

অভিনয় ছাড়ার কারণ জানিয়ে গতকাল রবিবার জায়রা ওয়াসিম তার ভেরিফাইড ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুক ও টুইটারে লিখেছেন, পাঁচ বছর আগে নেওয়া সিদ্ধান্ত আমার জীবনকে বদলে দিয়েছিলো। বলিউডে পা রাখার পর তুমুল জনপ্রিয়তা পাই। কিন্তু এই জগতটা আমাকে ক্রমশ অবমাননার দিকে ঠেলে দিয়েছে, ক্রমশ অসচেতন ভাবে আমি আমার ঈমান (বিশ্বাস) থেকে  বেরিয়ে এসেছি। কারণ, আমি এমন একটা পরিবেশে কাজ করতাম যা ক্রমাগত আমার ঈমানের মাঝে এসে দাঁড়াত, ধর্মের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বিপন্ন হয়ে পড়েছিল।

জায়রা তার পোস্টে আরো বলেন, কোরআনের ঐশ্বরিক জ্ঞানের মধ্যে আমি তৃপ্তি এবং শান্তি খুঁজে পেয়েছি। প্রকৃতপক্ষে হৃদয় তার সৃষ্টিকর্তার জ্ঞান, তার গুণাবলী, তার করুণা এবং তার আদেশের জ্ঞান অর্জনে শান্তি পায়। আমি মনে করি খ্যাতি, সম্পদ যে পর্যায়ে পৌঁছে যাক না  কেন, তাতে যেন কখনও শান্তি এবং নিজের বিশ্বাস না হারিয়ে যায়।

সূত্র: দৈনিক মানবজমিন, 01/07/2019

Featured post

কুরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি মাসআলা

 কোরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি মাসআলা ||-----๑▬▬๑﷽๑▬▬๑-----|| কোরবানী একটি ঐতিহাসিক স্মৃতিময় আমল। আল্লাহ বলেন فصل لربك وانحر হে নবী! আপনি ...